ঢাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শুক্রবারের (২ মে) সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে সর্বস্তরের জনতাকে আহ্বান জানিয়েছেন পার্টির আহ্বায় নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
নাহিদ বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট মুজিববাদী ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা উৎখাত করেছিল। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখছি, এতদিন হয়ে গেলেও এ দলটির ব্যানারে তাদের নেতাকর্মীরা এখনও প্রকাশ্যে মিছিল করার সাহস পায়। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তেমন দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ৫ আগস্টের পর থেকেই আমরা বলে আসছি, আওয়ামী লীগ কোনও অবস্থাতেই বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার রাখে না এবং এর আইনি বন্দোবস্ত করতে হবে।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে কয়েকটি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। পিলখানা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ ও মুদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত দলটি। এছাড়াও বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গুম-খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন। এসব অন্যায়ের বিচারের জন্যই কিন্তু গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে দলগতভাবেও বিচারের দাবি জানিয়েছিলাম। সেটিও দৃশ্যমান হয়নি।
ফলে আমরা আবারও রাজপথে নামছি। আবারও বলতে চাই, আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং যুবলীগসহ তাদের সব অঙ্গ সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
ইতোমধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করে আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, একটি ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গণঅভ্যুত্থানে প্রতিশ্রুতি ছিল ফ্যাসিজমকে আর কখনও বাংলার মাটিতে জায়গা না দেওয়া। আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করা ছিল আমাদের জুলাই আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতির প্রতি প্রতিশ্রুতি।