তীব্র ভাষায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বের সমালোচনা করার দিন কয়েকের মধ্যেই সাবেক সতীর্থ ক্রিকেটারের কাছে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তিতুল্য ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই শুক্রবার জানিয়েছে, হঠাৎই মিয়াঁদাদ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছেন তার ভাগ্নে ফয়সাল ইকবালকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘরোয়া একটি দলের প্রধান কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর।
বিতর্কিত মন্তব্য করার বেলায় মিয়াঁদাদের জুড়ি মেলা ভার। পাকিস্তানের ৬৩ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক এআরওয়াই নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষমা চেয়েছেন ইমরান খানের কাছে। ‘যদি আমার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমা চাই, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কারণ ইংল্যান্ডের সঙ্গে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স দেখে খুবই রাগান্বিত ছিলাম আমি’-বলেছেন মিয়াঁদাদ।
সম্প্রতি ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে জেতার অবস্থানে থেকেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে পাকিস্তান। ২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড। বৃষ্টির দাপটে ম্যাড়মেড়ে ড্র হয়েছে দ্বিতীয় টেস্টে। সাউদাম্পটনে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করার লক্ষ্যে শুক্রবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান।
এআরওয়াইকে মিয়াঁদাদ আরও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং সারাবিশ্বে পাকিস্তানের ক্রিকেট-ভক্তদের ওপর আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে।’
তবে দিন কয়েক আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য মিয়াঁদাদ করেছেন, তার সঙ্গে এটি একবারেই যায় না। বলা যায়, পুরোপুরি ডিগবাজি খেয়েছেন মিয়াঁদাদ। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইমরানকে পাকিস্তানের ক্রিকেট ধ্বংসের জন্য দায়ী করে তাকে রাজনীতিতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। তার ক্ষোভের অন্যতম কারণ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ক্রিকেট বোর্ডে যে পরিবর্তন এনেছেন ও যেসব নিয়োগ দিয়েছেন তা পছন্দ না হওয়া।
বয়সে ইমরানের পাঁচ বছরের ছোট হলেও পাকিস্তানের অধিনায়ক হয়েছেন আগে। ইউটিউবে এটি উল্লেখ করে ইমরানের উদ্দেশে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘আমি আপনার অধিনায়ক ছিলাম, আপনি আমার অধিনায়ক ছিলেন না। আমি রাজনীতিতে আসবো এবং তারপর আপনার সঙ্গে কথা বলবো। আমিই আপনাকে সবসময় নেতৃত্ব দিয়ে গেছি, কিন্তু আপনি এখন কাজ করে চলেছন সর্বশক্তিমানের মতো। আপনার কর্মকাণ্ডে প্রায় সময়ই মনে হয় আপনি দেশের সবেচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি। মনে হয় কেউ যেন কখনও অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজে বা পাকিস্তানের অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েনি। জনগণের কথা ভাবুন। আপনি দেশের কথা মোটেই ভাবেন না। আপনি আমার বাসায় এসে প্রধানমন্ত্রী রূপে বেরিয়ে গেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, এটা অস্বীকার করতে পারবেন না।’