ডেথ ওভারে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। আজ লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে তার সুযোগ এসেছিল দলকে ম্যাচ জেতানোর। কিন্তু পারলেন না তিনি। শেষ দুই ওভারে জিততে ১৫ রানের প্রয়োজন ছিল জাফনা কিংসের। আগের তিন ওভারে ১ উইকেট নিয়ে দারুণ বোলিং করা মোস্তাফিজকে ১৯তম ওভারে বল হাতে দেন ডাম্বুলা সিক্সার্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। কিন্তু ওই ওভারে ২ চারে মোস্তাফিজ খরচ করেন ১১ রান। আর তাতেই শেষ ওভারে ৪ রানের সহজ সমীকরণ মিলিয়ে ৪ উইকেটে নিজেদের প্রথম জয় নিশ্চিত করে ফেলে জাফনা। অন্যদিকে মোস্তাফিজ-তাওহীদ হৃদয়দের নিয়ে গড়া ডাম্বুল টানা দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে অবস্থান করছে।
পাল্লেকেলেতে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে জাফনা কিংস ও ডাম্বুলা সিক্সার্স নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিল। টস জিতে ডাম্বুলাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কুশল পেরেরার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ডাম্বুলা ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তোলে। জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন জাফনার ওপেনার কুশল মেন্ডিসের উইকেট। পাওয়ার প্লেতে আরও দুই উইকেটে তুলে নিয়ে দলটির মেরুদণ্ডই ভেঙে দেন ডাম্বুলার বোলাররা।
৩৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর আভিষ্কা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে চতুর্থ উইকেটে ৬৬ বলে ১৩৬ রানের জুটি গড়ে জাফনাকে জয়ের পথে ফেরান। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজই। ৩৬ বলে ৫০ রান করে কভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন আসালাঙ্কা। তবে স্কোরবোর্ডে আরও ৭ রান যোগ হতেই আভিষ্কা সাজঘরে ফেরেন। ৩৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন জাফনার অধিনায়ক। শেষ ২ ওভারে জিততে ১৫ রান লাগতো জাফনার। সহজ সেই সমীকরণ শেষ বলে এসে মিলিয়ে ফেলে তারা। আর তাতেই ৪ উইকেটে জিতে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় তুলে নেয় জাফনা।
ডাম্বুলার বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ৩০ রান খরচায় দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া নুয়ান থুশারা দুটি এবং মোহাম্মদ নবী একটি উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই ডাম্বুলা দানুশকা গুনাথিলাকাকে হারায়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক কুশল পেরেরা ও নুওয়ানিদু ফার্নান্দো মিলে ৬৪ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। নুওয়ানিদু ফার্নান্দো ৩৫ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও পেরেরা তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। তৃতীয় উইকেটে মার্ক চ্যাপম্যানকে সঙ্গে নিয়ে ৩৮ বলে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন পেরেরা। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে ডাম্বুলা ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। আগের ম্যাচে ১ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতেই হয়নি।