মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ডেথ ওভারে আবারও রানের ফোয়ারা ছুটলো। অপ্রত্যাশিতভাবে গুজরাট টাইটান্সের স্কোরবোর্ডে জমা পড়লো বড় রান। ৬ উইকেটে ২০৭ রান। এরপর তাদের দুই আফগান স্পিনার রশিদ খান ও নুর আহমেদ চড়াও হলেন মুম্বাইয়ের ব্যাটারদের ওপর। বড় লক্ষ্যে যেমন শুরু দরকার তেমনটা করতে পারলো না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৯ উইকেটে ১৫২ রানে থামে। মুম্বাইকে ৫৫ রানে হারিয়ে আইপিএল টেবিলের দুইয়ে উঠে গেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫০ রান করেছিল গুজরাট। শুভমান গিল ৩৪ বলে ৫৬ রান করে বিদায় নেন। প্রত্যাশিত স্কোর ১৭০-১৮০ ধরা হচ্ছিল। কিন্তু অভিনব মনোহর ও ডেভিড মিলার প্রত্যাশা ছাপিয়ে গেলেন। দুজনে মিলে ৭ ছক্কায় ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। অভিনব ২১ বলে ৩টি করে চার ছয়ে ৪২ রান করেন। শেষদিকে রাহুল তেওয়াতিয়া ছোট তাণ্ডব চালান। তাতে ১৭-২০ এই চার ওভারে ৭০ রান দেয় মুম্বাই, যা এই আসরে সর্বোচ্চ। পাঞ্জাবের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও ডেথ ওভারে ৬৫ রান দেন তাদের বোলাররা।
মিলার ২২ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৪৬ রান করেন। রাহুল ৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন, ৩টিই ছয় মারেন।
রিলি মেরেডিথ ৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৪৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। প্রথম ৩ ওভারে ১৭ রান দেওয়া পিযুষ চাওলা শেষ ওভারে দেন আরও ১৭ রান, সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন অর্জুন টেন্ডুলকার।
লক্ষ্যে নেমে ছন্নছাড়া ব্যাটিং। হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর রশিদ ও নুর চিড় ধরান। অষ্টম ও ১১তম ওভারে তাদের জোড়া আঘাতে আর দাঁড়াতে পারেনি মুম্বাই। মিডল অর্ডারে দুজন মিলে ৫ উইকেট নেন। শেষদিকে মোহিত শর্মা তোপ দাগান।
নেহাল ওয়াধেরার ২১ বলে ৪০ রান ছিল তাদের ব্যাটিংয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১২ বলে করেন ২৩ রান।
নুর সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। রশিদ ও মোহিত পান দুটি করে উইকেট।
৭ ম্যাচে পঞ্চম জয়ে ১০ পয়েন্ট গুজরাটের। সমান খেলে চতুর্থ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সাতে মুম্বাই।