আর কদিন পর বিশ্বকাপ শুরু। শেষবারের মতো ইংল্যান্ডের পরখ করে দেখার সুযোগ আয়ারল্যান্ড সিরিজ। কিন্তু শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশ্বকাপ দলের ১৫ জনের কেউই নেই! অভিষেক হলো চার ক্রিকেটার স্যাম হাইন, জেমি স্মিথ, টম হার্টলি ও জর্জ স্ক্রিমশো। নটিংহ্যামে নতুন চেহারার ইংল্যান্ড নির্বিঘ্নে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উইল জ্যাকস ও অভিষিক্ত স্যাম হাইনের ব্যাটে ৮ উইকেটে ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। চ্যালেঞ্জিং রান ছুড়ে তা ভালোভাবেই প্রতিহত করেছে তারা। ৪৭তম ওভারে আইরিশদের ২৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪৮ রানে জিতে তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সপ্তম ওভারে উইল ইয়াংয়ের জোড়া আঘাতে ফিল সল্ট ও জ্যাক ক্রলি উইকেট হারান। বেন ডাকেটকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান জ্যাকস। ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা।
ডাকেট (৪৮) হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি মাত্র ২ রানের জন্য। অন্যদিকে ৪৪ রানে জীবন পাওয়া জ্যাকস ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। অবশ্য আক্ষেপে পুড়েছেন তিনি। ছয় রানের জন্য হয়নি সেঞ্চুরি। ৮৮ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রান করেন জ্যাকস।
হাইন ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ৮২ বলে ৮ চারে করেন ৮৯ রান। তার সঙ্গে ব্রাইডন কার্সের ৬৩ রানের জুটি ইংল্যান্ডের দলগত সংগ্রহে ভালো অবদান রাখে। কার্স ৩২ রান করেন।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে জর্জ ডকরেল সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে ১৮৮ রানে ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। রেহান আহমেদ দুর্দান্ত বোলিংয়ে সফরকারীদের চাপে ফেলেন। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে ব্যারি ম্যাককার্থি ও ক্রেইগ ইয়াংয়ের জুটিতে লড়াই চালিয়ে যায় তারা।
ম্যাককার্থি থামেন ৪১ রানে। এরপর ইয়াং ও জশ লিটলের শেষ জুটি ইংলিশ বোলারদের সামনে ঢাল গড়ে তোলে। দুজনে মিলে আরও ৫৫ রান তুলে থামেন, যা আয়ারল্যান্ডের দশম উইকেটে রেকর্ড জুটি। ইয়াং ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২৯ রান করেন লিটল।
মিডল অর্ডারে জর্জ ডকরেলের ৪৩ রান আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ। টপ অর্ডারে হ্যারি টেক্টর ৩৯ রান করে অবদান রাখেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে রেহান সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। অভিষিক্ত পেসার জর্জ স্ক্রিমশো অনেক নো বল (৬) দিলেও শেষ দিকে উইকেট তুলে নেন। তার শিকার ৩ ব্যাটার।