বিশ্বকাপের আগে সর্বশেষ ওয়ার্ম আপ ম্যাচে বাবর-ইফতিখারের লড়াইয়ের পরেও বৃথা গেছে তাদের ইনিংস। অজিরা ১৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। তাতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই হার দেখেছে পাকিস্তান। অপর দিকে বিশ্বকাপের আগে সবার জন্য সতর্ক বার্তা দিয়ে রাখলো আফগানিস্তান দলও। দাপুটে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
হায়দরাবাদে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেটে দাঁড় করায় ৩৫১ রানের সংগ্রহ। মিডল অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৭১ বলে ৭৭ ও ক্যামেরন গ্রিনের ৪০ বলে অপরাজিত ৫০* রান ছিল উল্লেখযোগ্য। ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসটি ছিল ৪টি চার ও ৬টি ছয়ে সাজানো। রানের গতি বাড়াতে লোয়ার অর্ডারে জশ ইংলিসের ৩০ বলে ৪৮ রান দারুণ ভূমিকা রাখে। ৩১ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন পাকিস্তানের উসামা মির।
জবাবে ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইফতিখার আহমেদ ও বাবর আজমের ব্যাটিংয়ে। পঞ্চম উইকেটে ১৪৪ রান যোগ করেন তারা। এই জুটি জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করে। কিন্তু দলের ২২৭ রানে ইফতিখারের (৮৩) আউট এবং কিছুক্ষণ পরে বাবর আজম (৯০) রিটায়ার্ড আউট হলে জয়ের পথে থাকেনি আর। সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন বাবর। ৫৯ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৯০ রান করেন তিনি। ইফতিখারের ৮৫ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছয়ের মার।
শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৪ ওভারে ৩৩৭ রানে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের ইনিংস। পরাজয় দেখলেও পাকিস্তান দুটি ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিংয়ে হাই স্কোরিং স্কোরবোর্ড উপহার দিয়েছে।
অজিদের হয়ে ৭৮ রানে ৩ উইকেট নেন মার্নাস লাবুশেন। দুটি করে নিয়েছেন মিচেল মার্শ ও প্যাট কামিন্সও।
শ্রীলঙ্কার ম্যাচে ব্যাট হাতে আধিপত্য ছিল কুশল মেন্ডিসের। ৮৭ বলে ১৫৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই ৪৬.২ ওভারে ২৯৪ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য মেন্ডিস রিটায়ার্ড আউট হওয়ার পর বাকিরা উল্লেখযোগ্য অবদানই রাখতে পারেননি। নাহলে স্কোরবোর্ড আরও বড় হতে পারতো। আফগানদের হয়ে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন মোহাম্মদ নবী। পরে অবশ্য বৃথা গেছে মেন্ডিসের ইনিংস। বৃষ্টির কারণে আফগানদের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২ ওভারে ২৫৭! কিন্তু সেই লক্ষ্য আফগান দল ৪ উইকেটে অনায়াসে তাড়া করেছে ৩৮.১ ওভারে! ১৯ রানে ইব্রাহিম জাদরান আউট হলেও আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং জয়ের জন্য ছিল যথেষ্ট। রিটায়ার্ড আউট হওয়ার আগে গুরবাজ ৯২ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১১৯ রান করেছেন। রহমত শাহও রিটায়ার্ড আউট হন ৮২ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৩ ছয়ের মার।