অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে নারী ক্রিকেটকে আজকের অবস্থানে নিতে অনন্য ভূমিকা সালমা খাতুনের। ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার জাতীয় দলে নেই অনেক দিন ধরেই। গত বছরের জুলাইতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি শেষবার বাংলাদেশের জার্সি পরেন তিনি। দীর্ঘদিন উপেক্ষিত থাকা এই অলরাউন্ডার যে ফুরিয়ে যাননি, সেই প্রমাণ পাওয়া গেলো নারী প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী ও মোহামেডান দ্বৈরথে।
প্রথম চার রাউন্ডে সবগুলো ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে আধিপত্য দেখিয়েছে মোহামেডান ও আবাহনী। পঞ্চম রাউন্ডে এসে দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মুখোমুখি লড়াইয়ে নামে। তাতে সালমার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবাহনীর জয়রথ থামালো মোহামেডান। শনিবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ১১১ রানে জিতেছে তারা। ১৮৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৯.১ ওভারে মাত্র ৭৬ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী।
বিকেএসপিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মোহামেডানের দুই ওপেনার জাসিয়া আক্তার ও মুর্শিদা খাতুন। ৪৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন জাসিয়া। এরপর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে ৫৫ রান যোগ করেন মুর্শিদা। সোবহানার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রানের ইনিংস। মুর্শিদার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ বলে ৫৫ রান। শেষ দিকে অভিজ্ঞ সালমার ৪৪ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ভর করে রান হয় ১৮৭।
আবাহনীর বোলারদের মধ্যে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন তরুণ অফ স্পিনার শরিফা খাতুন। এছাড়া নাহিদা আক্তার ৪৩ রানে নেন ২ উইকেট ও জাহানারা আলম ৩৯ রানে নেন একটি উইকেট।
১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আবাহনী। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন মাত্র তিন ব্যাটার। সর্বোচ্চ ২০ রান আসে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিকের ব্যাট থেকে।
২টি করে উইকেট নেন সালমা, আয়েশা রহমান ও রুমানা আহমেদ। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন সালমা।