ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আরও একটি ম্যাচে হারলো প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। অথচ দুই ম্যাচ আগে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৪২২ রানের রেকর্ড দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে নাঈম শেখরা। তার পর টানা দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছে দলটি। আগের ম্যাচে লিজেন্ডেস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের পর শনিবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে প্রাইম ব্যাংক।
এদিন বোলাদের দারুণ বোলিংয়ে গাজী গ্রুপকে ১৮৩ রানে অলআউট করে প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু গাজী গ্রুপের অচেনা বাঁহাতি স্পিনার মো. আবু হাসিমের ঘূর্ণিতে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়েছে তারা।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৩.৪ ওভারে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে। দুই অফস্পিনার নাহিদুল ইসলাম ও আরাফাত সানীর ঘূর্ণিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। এনামুল হক বিজয় ৪৪ বলে ৪৮ এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ৭১ বলে ৩৫ রানের ইনিংস দলের স্কোরকে ১৮৩ রানে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখে। এর বাইরে আব্দুল গাফফার সাকলাইন ২৪ ও তোফায়েল আহমেদ ২০ রানের ইনিংস খেলেন।
প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের আরাফাত ২২ রানে তিনটি এবং নাহিদুল ৪৬ রানে তিনটি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া হাসান মাহমুদ ও রিশাদ হোসেন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
১৮৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই বিপদে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। অচেনা আবু হাসিমের ঘূর্ণিজাদু ছাড়াও লিয়ন ইসলাম ও শেখ পারভেজ জীবনের ঘূর্ণিতে ২৩.২ ওভারে ৮৯ রানে অলআউট হয় তারা। মাত্র চার ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পেরেছেন। সর্বোচ্চ ২১ রান আসে রিশাদের ব্যাট থেকে। দলের গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার নাঈম শেখ (১৫), জাকির হাসান (১১) ও শাহাদাত হোসেন দিপু (১২) রানের ইনিংস খেলেছেন।
গাজীর বোলারদের মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার হাসিম ১২ রান খরচায় তিনটি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া লিয়ন ও পারভেজ দুটি করে উইকেট নেন। এর বাইরে শামসুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।