তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুতে পুরো দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও দারুণ ইনিংস খেলেছেন প্রাইম ব্যাংকের শামীম হোসেন। সেঞ্চুরি না পেলেও ৬১ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তার এই ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানকে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দিতে পারে প্রাইম ব্যাংক। সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান। বল হাতে এক উইকেট ও ব্যাট হাতে ৬৭ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিরাজ।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের তাইজুল-এবাদতের বোলিংয়ে ১৭৪ রানে থামে দলটির ইনিংস। ১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় মোহামেডান। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও তাওহীদ মিলে ২৬ রানের জুটি গড়েন। মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে ১০ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। তার পর পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতে ৯১ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। ৫৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। বাকি পথটা আরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে অনায়াসে পার হন মিরাজ। ৫৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ ৩৩ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও শামীম হোসেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডনের পেসার এবাদত হোসেন ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ৩২.২ ওভারে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো প্রাইম ব্যাংকের ত্রাতার ভূমিকাতে ছিলেন শামীম হোসেন। তার ৬১ বলে খেলা ইনিংসে কিছুটা হলেও লড়াইয়ের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক। ১০ চার ও ৪ ছক্কায় শামীম ৮৯ রানের ইনিংসটি সাজান। এছাড়া আরাফাত সানি ২১, ইরফান শুক্কুর ১৯ এবং নাঈম শেখের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রানের ইনিংস।
তাইজুল মাত্র ৫ রান খরচ করে শিকার করেন চারটি উইকেট। এবাদত ২৭ রানে শিকার করেন তিনটি উইকেট।