পারিশ্রমিক ইস্যুতে আগের দিন ম্যাচ বয়কটের হুমকি দিয়েছিল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। যদিও শেষ পর্যন্ত গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি ঠিকমতোই গড়িয়েছে। কেবলমাত্র আগের ম্যাচ থেকে পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল পারটেক্স। সেখানে একজন ক্রিকেটার প্রথমবার সুযোগ পেয়েছিলেন। ইয়াসিন মুনতাসির থাকেন অস্ট্রেলিয়াতে। বাংলাদেশি এই বংশোদ্ভুতের স্বপ্ন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার। এই স্বপ্ন নিয়েই অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসেন তিনি। যদিও কোনও লাভ হয়নি, এই লেগস্পিনারসহ আরও চার ক্রিকেটারকে বদলি এনেও জিততে পারেনি পারটেক্স। ১৭০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে অবস্থান দলটির। অন্যদিকে বড় জয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করে ফেলেছে এনামুল হক বিজয়ের গাজী গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বিজয়, সাব্বির হোসেন সিকদার ও শামিম মিয়ার তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০২ রান সংগ্রহ করে গাজী গ্রুপ। ৩০৩ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে গাজীর বোলারদের চাপের মুখে পড়ে পারটেক্স। ওপেনিংয়ে নামা আদিলই একমাত্র লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৩১.৫ ওভারে ১৩২ রান করে অলআউট হয় দলটি। শেষ ব্যাটার মোহর শেখ অসুস্থতার কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। আদিল ৮৫ বলে খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস।
গাজীর বোলারদের মধ্যে শামীম মিয়া ২৯ রানে নেন দুটি উইকেট। ব্যাট হাতে ৫৩ রানের ইনিংস খেলা এই অলরাউন্ডার হয়েছেন ম্যাচসেরা। শামীম ছাড়াও ওয়াইসি সিদ্দিকী ও তোফায়েল আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া গাজী গ্রুপ বিজয়, সাব্বির ও শামীমের তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০২ রান করে। সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে অধিনায়ক বিজয়ের ব্যাট থেকে। ৯০ বলে ৯ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান উইকেট কিপার এই ব্যাটার। এছাড়া সাব্বির ৬৪ ও শামীম ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন। গাজীর ইনিংসে আরও অবদান রাখেন সাদিকুর রহমান (৪৬) ও তোফায়েল আহমেদ (৩৭)।
পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে তানভীর হোসেন, ইয়াসিন ও রুবেল মিয়া প্রত্যেকে নেন দুটি করে উইকেট।