সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ। সেই সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্সে আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এপ্রিলে তিনজনের মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার সঙ্গে রয়েছেন একই সিরিজে জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ানো ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যন্ড পেসার বেন সিয়ার্স।
অভিজ্ঞ মিরাজ দুই টেস্টের সিরিজেই দারুণ ছন্দে ছিলেন। সিলেটে প্রথম টেস্টে বল হাতে ব্যাক টু ব্যাক ৫ উইকেট শিকার করেছেন। প্রথম ইনিংসে ৫২ রানে নিয়েছেন ৫টি, দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫০ রানে ৫টি উইকেট শিকার করে স্বাগতিকদের লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিন উইকেটের জয় পায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য ব্যাট-বল দুই বিভাগেই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে অল্পতে বেঁধে রাখার পর ব্যাট হাতে ১৬২ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসটাকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গেছেন তিনি। তার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৩২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। চট্টগ্রামে এই টেস্ট এক ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতে পরে সিরিজে সমতা ফেরায় স্বাগতিক দল। মেহেদী এপ্রিল মাসটা দুই টেস্টে ৩৮.৬৬ গড়ে ১১৬ রান নিয়ে শেষ করেছেন। ১১.৮৬ গড়ে নিয়েছেন ১৫টি উইকেট।
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুরাজাবানিও কম ছিলেন না। সিলেট টেস্ট বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের ওপর একাই চড়াও হয়েছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫০ রানে নেন ৩ উইকেট। তার মধ্যে ছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন আরও আক্রমণাত্মক। ৭২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম টেস্ট জিততে ভূমিকা রাখেন তিনি। সিরিজে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ উইকেট শিকারি ছিলেন মুজারাবানি।২০.৫০ গড়ে নিয়েছেন ১০টি উইকেট।
কিউইদের পেসার বেন সিয়ার্সও দারুণ ফর্মে ছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাক-টু-ব্যাক পাঁচ উইকেট শিকার করেন তিনি। হ্যামিল্টনের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার বোলিংয়ে গুড়িয়ে যায় পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। ৫৯ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তার বোলিংয়ে ভর করেই কিউইরা ৮৪ রানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শেষ ওয়ানডেতে একইভাবে দাপুটে বোলিংয়ে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। ৩৪ রানে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। তাতে ৪৩ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে নিউজিল্যান্ড। সিয়ার্স ছিলেন সিরিজ সেরা খেলোয়াড়। ৯.৩০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি ছিল ৫.০৭।