সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি রুপ নিয়েছে তিন ম্যাচের। দুই ম্যাচ ইতোমধ্যে ১-১ সমতা। ফলে আজ বুধবার অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। যে দল জিতবে তারাই সিরিজ নিজেদের পকেটে পুড়বে।
স্বাগতিক আরব আমিরাত দুই ম্যাচেই দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। অভিজ্ঞতার কারণে প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে। বুধবার তৃতীয় ম্যাচটিতে তাই জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষা। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে অলিখিত ফাইনাল। টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টেলিভিশন ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সফরকারীদের শঙ্কার বিষয় ব্যাটিং। আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচেও প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেনি। পারভেজ হোসেনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৯১ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার সবাই হয়েছিলেন ব্যর্থ। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও ফিনিশিংটা ভালো হয়নি। ফলে ২০৫ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। আজও একই ভেন্যুতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষায় বসতে হবে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ ইমনকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। যদিও সাবেক এই অধিনায়ক ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ একাদশে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান ইমন। এর বাইরে একাদশে আরও একটি পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে। অভিষিক্ত নাহিদ রানাকে বিশ্রাম দিয়ে ফেরানো হতে পারে হাসান মাহমুদকে। আগের ম্যাচের বোলারদের অসহায় আত্মসমর্পণ দৃষ্টিকটূ লেগেছে। আরব আমিরাতের ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন।
শুধু বোলিং নয়, ফিল্ডিংয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত ফসকে বল বেরিয়ে গেছে। এই জায়গা উন্নতি জরুরি। নয়তো আরও একবার পঁচা শামুকে পা কাটতে হবে। বিপরীতে আরব আমিরাতের জন্য দারুণ কিছুর হাতছানি। এখন অব্দি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে আয়ারল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়েছিল তারা। বুধবার বাংলাদেশকে হারাতে পারলে নতুন ইতিহাস রচনা হবে।
অথচ আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে আরব আমিরাতের সঙ্গে সিরিজ ছিল না বাংলাদেশের। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা মূলত সিরিজ খেলতে নেমেছিল। কিন্তু খেলতে নেমে ‘ইজ্জ্বত’ হারানোর মতো অবস্থা। বুধবার অলিখিত ফাইনালে প্রবল চাপের এই ম্যাচটি জিততে পারলে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে পাকিস্তান যেতে পারবে। নয়তো আরও চাপ ঘিরে ধরবে লিটন দাসের দলকে। এখন অপেক্ষা সেই চাপকে পেছনে ফেলার।