শুরুতে পিছিয়ে পড়েও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যাকে দেশটির ক্রিকেটের ভাগ্য নির্ধারক হিসেবে ধরা হচ্ছে। আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম মনে করেন, ঐতিহাসিক জয় দেশটির ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গঠনের দীর্ঘ পথে ভূমিকা রাখবে।
সিরিজ শুরুর আগে পাঁচজন নতুন খেলোয়াড় দলভুক্ত করা স্বাগতিকরা অভিজ্ঞতার সীমা ছাড়িয়ে অসীম সাহস ও পরিপক্কতা দেখিয়েছ। যার চূড়ান্ত রূপ পায় বুধবার রাতে। ১৬৩ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৫ বল আগেই ছুঁয়েছে তারা। বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য সিরিজ জয় নিঃসন্দেহে আমিরাতের ক্রিকেটে বড় অর্জন। তাই ম্যাচের পর সিরিজ সেরা হওয়া ওয়াসিম সতীর্থদের নিয়ে নিজের গর্ব লুকাতে পারেননি, ‘আমি খুব খুশি। ওরা পুরো সিরিজজুড়ে দারুণ খেলেছে। আমরা আশা হারাইনি এবং সবাইকে আশাবাদী রেখেছিলাম। আমরা শারজায় যে কোনও স্কোর তাড়া করতে পারি, সেটা যে কোনও দলের বিপক্ষে। কারণ আমরা এর সঙ্গে অভ্যস্ত।’
ইতিহাস গড়া নিয়ে ওয়াসিম বলেছেন, ‘আমরা খুশি ইতিহাস গড়তে পেরেছি। এই সিরিজ আমাদের জন্য অনেক কিছু। ভবিষ্যতের জন্য এটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে। ছেলেদের পারফরম্যান্সে ভীষণ সন্তুষ্ট।
এ সময় আসিফ খান, আলিশান শারাফু, রাহুল চোপড়া ও হায়দার আলীদের প্রশংসায় ভাসান ওয়াসিম। যাদের সম্মিলত প্রচেষ্টা দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে।
সিরিজ জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল শেষ ম্যাচে শারাফু ও আসিফের মধ্যকার ৫১ বলে করা ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৪৭ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা শারাফু চাপের মাঝেও ধীরস্থির ছিলেন। তিনি ম্যাচের পর বলেছেন, ‘পরিকল্পনা খুব সহজ ছিল। যত বেশি সম্ভব বল খেলা। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে। মূলত আসিফ মাঠে আসার পর পরিকল্পনা ছিল স্কোরবোর্ড সচল রাখা এবং মাঝে মাঝে বাউন্ডারির খোঁজ করা।’
শুরুতে এটা ছিল দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তৃতীয় ম্যাচটি সিরিজে যুক্ত হয় দুই বোর্ডের সম্মতিতে। শুরুতে বাংলাদেশ ১-০ তে এগিয়ে ছিল। কিন্তু সংযুক্ত আমিরাত ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ফেলে। পরে তো ঠাণ্ডা মাথায় খেলে তৃতীয় ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করেছে সিরিজ!
শারাফু বলেছেন, ‘তৃতীয় ম্যাচটা ঘোষণার পর ড্রেসিং রুমে সবাই আশাবাদী ছিল যে, আমরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারবো। এরপর থেকে সব কিছুই আমাদের পক্ষে চলে আসে।’