প্লে অফের চার দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আগের দিন শীর্ষ দল গুজরাট টাইটান্স হেরেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। শুক্রবার দুই নম্বরে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু চতুর্থ হারের তেতো স্বাদ পেলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে।
আগে ব্যাট করে ইশান কিষাণের ৪৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছয়ে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে হায়দরাবাদ ৬ উইকেটে করে ২৩১ রান। জবাবে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১৮৯ রানে অলআউট বেঙ্গালুরু। ৪২ রানের দারুণ জয় পায় হায়দরাবাদ।
এর আগে অভিষেক শর্মা ১৭ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩৪ রান করে চতুর্থ ওভারের শেষ বলে মাঠ ছাড়েন। ওপেনিং জুটি ভাঙে ৫৪ রানে। আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেড (১৭) ব্যর্থ। তারপর আইনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে ইশান ৪৮ রানের জুটি গড়েন।
ক্লাসেন ১৩ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। অনিকেত ভার্মা ৯ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ইশানের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৩ রানের।
শেষ দিকে অভিনব মনোহর ও প্যাট কামিন্সের অবদান ছিল ১২ ও ১৩ রানের। ইশান ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।
বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।
লক্ষ্যে নেমে ঝড় তোলেন বিরাট কোহলি ও ফিল সল্ট। ৪২ বলে ৮০ রানের জুটি ভেঙে যায় কোহলির বিদায়ে। বেঙ্গালুরু ওপেনার ২৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ রান করেন।
তারপর মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও সল্টের ৪০ রানের জুটি। ১১তম ওভারে ১১ রানে আউট হন মায়াঙ্ক। পরের ওভারে সল্ট ৩২ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছয়ে ৬২ রানে আউট হলেও লড়াই চালিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। একটা সময় তাদের লাগে ৩৬ বলে ৬৯ রান, হাতে তখনও সাত উইকেট। কিন্তু পরের ৩৫ বলে ১৬ রানে বাকি উইকেট হারিয়ে অলআউট তারা! দুই সেট ব্যাটার রজত পতিদার (১৮) ও অধিনায়ক জিতেশ শর্মাকে (২৪) ফিরিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় হায়দরাবাদ। বেঙ্গালুরু ১৮৯ রানে অলআউট।
কামিন্স সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি পান এহসান মালিঙ্গা।
তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে গুজরাটকে (১৮) টপকে শীর্ষে ওঠা তো দূরের কথা, এক ধাপ নেমে তিনে বেঙ্গালুরু (১৭)। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে গেছে পাঞ্জাব কিংস।