১৯৯৯ সালের সাফ গেমস (বর্তমানে এসএ গেমস) ফুটবলে সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামের ফাইনাল ম্যাচে সেদিন লাল-সবুজ দলের গোলবার আগলে রেখেছিলেন বিপ্লব ভট্টাচার্য। আলফাজ আহমেদের গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সাফল্যে মোড়ানো সেই মাঠে ২২ বছর পর আবারও বিপ্লবের পা পড়েছে। তবে অন্যভাবে। বাংলাদেশের মেয়েদের দলের গোলকিপিং কোচ হিসেবে দশরথে পা দিয়ে আবেগে আপ্লুত বিপ্লব।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে এখন নেপালে আছে। নেপালে যে মাঠে সোনা জিতেছিলেন, সেখানে পা দিয়ে যেন পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিলেন সাবেক তারকা গোলকিপার বিপ্লব, ‘ফাইনালে আমরা ভালো খেলে সোনা জিতেছিলাম। প্রতিপক্ষ নেপালকে কোনও গোল করতে দেওয়া হয়নি। স্বাগতিকদের দর্শক গ্যালারিজুড়ে ছিল। তাদের উপস্থিতিতে ম্যাচ খেলা সহজ ছিল না। তবে সেই ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো সোনা এসেছে। এই স্মৃতি ভোলার নয়।’
দশরথে প্রথম ঢুকে তার দেখা হয় ঢাকায় খেলে যাওয়া নেপালের জাতীয় দলের ফুটবলার হরি খাড়রকার সঙ্গে। পরে সাক্ষাৎ হয় সে দেশের ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি উপেন্দ্র মান সিংয়ের সঙ্গে। দুজনেই ১৯৯৯ সালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন।
প্রায় আড়াই বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে কাঠমান্ডুতে প্রথম ম্যাচে ভালো করতে পারেনি সাবিনা-স্বপ্না-তহুরারা। স্বাগতিকদের কাছে ২-১ গোলে হারতে হয়েছে। তাই গোলকিপিং কোচ বিপ্লবের কাছে এটা নতুন অভিজ্ঞতাই, ‘প্রায় আড়াই বছর পর মাঠে নেমে খারাপ করেনি মেয়েরা। সামনের দিকে আরও উন্নতি করার সুযোগ আছে। আশা করছি, একসময় মেয়েদের ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে।’