গত সপ্তাহে হয়ে গেছে মিলান ডার্বির প্রথম পর্ব। তাও আবার চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। কিন্তু ম্যাচ গড়ানোর পর দেখা গেলো ইন্টারের এক পেশে লড়াই। তাতে প্রথম লেগেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছে এসি মিলান।
সর্বশেষ সিরি আ’য় স্পেজিয়ার কাছে ২-০ গোলের পরাজয় তাদের আহত সিংহ বানিয়ে ছেড়েছে। মিলানের পাঁড় ভক্তদের কাছে তারা এখন তেমনই। নাহলে লিগে সর্বশেষ পরাজয়ের পর নত মস্তকে ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে তাদের ‘১১ সিংহ ফেরত চাই’ বলে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা কেন। মিলান কোচ স্টেফানো পিউলি কি পারবেন তার দলের ১১ সিংহকে জাগিয়ে তুলতে? ম্যাচটা শুরু হবে আজ দিবাগত রাত ১টায়।
মিলানের জন্য ম্যাচটা নিঃসন্দেহে অস্তিত্ব রক্ষার। আগের ১৫ বারের তুলনায় এবারের উন্নতিটা সর্বোচ্চ। যারা সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছে ২০০৭ সালে। তাছাড়া আগামী আসরেও চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায়। লিগে বাজে অবস্থার কারণে তারা এখন পাঁচ নম্বরে। এই অবস্থায় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে পারলে এই মৌসুমেই তারা ইতিহাসের গড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।
পিউলিও নিজেও খুব আশাবাদী। বিশেষ করে চোটের কারণে প্রথম লেগে খেলতে না পারা আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র রাফায়েল লিয়াওকে ফিরে পাওয়ার খবরে। তার কথা, ‘আমরা এমন ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি, যেটা আমাদের জন্য ইতিহাস তৈরি করবে। এখন শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে আমরা ইন্টারকে হারাতে পারি। শেষ দুই ম্যাচে হয়তো ভালো করিনি। কিন্তু আমরা তার চেয়েও ভালো খেলতে জানি।’
প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে হলে লিয়াওকেই ভীষণ প্রয়োজন তাদের। ২-১ অগ্রগামিতায় জেতা কোয়ার্টার ফাইনালে দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট ছিল তার। ফলে সেমির প্রথম লেগে তার অনুপস্থিতিতে সেই ধারটা ছিল অনুপস্থিত। সেকারণেই তো ১১ মিনিটে তারা ইন্টারের কাছে হজম করেছে দুই গোল।
ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাগি অবশ্য এবারও কোনও সুযোগ দিতে চাইছেন না, ‘কোচ হিসেবে প্রতিটি ম্যাচকেই একইভাবে দেখি আমি। এই ম্যাচটা ইন্টারের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সুবিধাজনকভাবে এগিয়েও আছি। কিন্তু এটা নিয়েই পড়ে থাকতে চাই না। আমরা ইন্টারের মতো খেলে দেখাতে চাই।’