প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকের পরই আজ শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বসুন্ধরা কিংস। রাজশাহী জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি দারুণভাবে স্মরণীয় করে রেখেছে অস্কার ব্রুজনের দল। এমফন উদোহ ও মিগেলের জোড়ায় ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৭-১ গোলে ধসিয়ে দিয়েছে কিংস। এর আগে প্রথম পর্বে ৫-২ গোলে জয় এসেছিল রাকিব-জনিদের।
রাজশাহীতে ম্যাচটিকে সামনে রেখে আলাদা জার্সি পরে খেলেছে জিকো-বিশ্বনাথরা। শততম ম্যাচের লোগো সম্বলিত জার্সি পরে যেন দল আরও উজ্জীবিত। প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স গাম্বিয়ার খেলোয়াড়দের নিয়ে কোনও সুবিধাই করতে পারেনি।
প্রথমার্ধেই চার গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের কাছে রেখে দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ ঘড়ির ১৯ মিনিটে কিংস প্রথমে এগিয়ে যায়। মিগেল ফিগেইরা দামাশেনোর ফ্রি কিকে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে টোকায় জালে জড়িয়ে দেন সাদউদ্দিন। এরপর বিরতি দিয়ে গোল এসেছে। ৩০ মিনিটে দামাশেনোর ছোট পাসে বক্সের ঠিক উপর থেকে নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবিনিয়ো।
৩৭ মিনিটে রিমন হোসেনের কাট ব্যাকে রবিনিয়ো ডামি করলে বল চলে যায় দামাশেনোর পায়ে। দেখেশুনে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত শটে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এটি তার ষষ্ঠ গোল।
চার মিনিট পর রবিনিয়োর কাটব্যাকে ছোট বক্সের উপরে আনমার্কড থাকা এমফোন উদোহর ডান পায়ের শট আটকানোর কোনও সুযোগই পাননি ব্রাদার্স গোলকিপার শওকত হেলাল মিয়া।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাদার্স ঘুড়ে দাঁড়ানোর কিছুটা ইঙ্গিত দেয়। মাহবুবুর রহমান সুফিলের ক্রসে রিমন লাফিয়ে উঠে হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টা করলেও নাগাল পাননি, দূরের পোস্টে থাকা এলিটা কিংসলে হেডে পরাস্ত করেন জিকোকে। তাতে ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় ব্রাদার্স।
বিরতির পরও গোলবন্যা চলতে থাকে। তবে এবার কিংস আবারও চালকের আসনে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ইব্রাহিমের নিচু আড়াআড়ি ক্রসে ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল যায় মোহাম্মদ সোহেল রানার পায়ে, প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন মিডফিল্ডার।
৫৮ মিনিটে গতিতে ডিফেন্ডারদের ছিটকে দিয়ে বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন উদোহ, বল পোস্টে লেগে ফেরার পর দামাশেনো ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
৭১ মিনিটে উদোহ দলকে সপ্তম গোল উপহার দেন। বাকি সময়ে এই স্কোরলাইন ধরে রেখে উৎসবের মেজাজে মাঠ ছেড়েছে কিংস।
লিগে কিংস ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে ২৫ পয়েন্টে শীর্ষে আছে। সমান ম্যাচে ব্রাদার্স আগের তিন পয়েন্ট নিয়েই তলানিতেই জায়গা করে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা জয়ের খাতা খুলতে পারেনি। তিনটিই ড্র। রেলিগেশন এড়ানো তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।