নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা দেখে যেন এখনও ঘোর কাটেনি এক সময় জাতীয় আর্চারি দলে খেলা অসীম কুমারের। কাতার বিশ্বকাপ জয়ী দল বলে কথা। তার ওপর চলতি কোপা আমেরিকার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তাই চিলির বিপক্ষে মেসিদের ম্যাচ দেখে ভীষণ রোমাঞ্চিত এই আর্চার।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরো মাঠ ছিল মেসিময়। সমর্থকরা বাহারি সাজে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। ৮১ হাজারের বেশি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। যার বেশিরভাগেরই জার্সিতে ছিল মেসির নাম। সেখানে অসীমসহ অনেক প্রবাসী ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে দেখার মহামূল্যবান এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন। ছিলেন বিনোদন জগতের সেলেব্রিটিরাও।
এমন স্বপ্ন পূরণের ম্যাচ দেখে এসে অসীম বাংলা ট্রিবিউন কে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, 'মনে হয়েছে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অনেক দিন ধরে ইচ্ছে ছিল মেসিদের খেলা মাঠে বসে দেখবো। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আগে থেকে অনলাইনে ৪৩০ ডলার দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম। মাঠে ঢুকতেই অনেক সময় লেগে যায়। তারপরও খারাপ লাগেনি। স্বপ্নের দলের খেলা দেখে অনেক খুশি।'
মাঠে প্রবাসী যারা খেলা দেখেছেন তাদের অনেকের হাতে দেশের পতাকাও ছিল। গ্যালারিতে তাই লাল-সবুজ দেখা গেছে। অসীম নিজেও দেশের পতাকা নিয়ে গেছেন। বলছিলেন, 'কমপক্ষে ১০০ বাংলাদেশি খেলা দেখতে এসেছিলেন। অনেকের হাতে দেশের পতাকা ছিল। আমি নিজেও নিয়েছি। আসলে সেখানে নিজ দেশের পতাকা নিয়ে যাওয়ার সুযোগটা কেউ হাতছাড়া করতে চায়নি।'
নিউইয়র্ক থেকে নিউজার্সির স্টেডিয়াম বেশি দূরত্বের নয়। নিউইয়র্কে এমনিতে অভিবাসীদের মিলনমেলা। তাই স্টেডিয়ামে দর্শকও প্রচুর। অসীম জানালেন, 'এখানে অভিবাসী অনেক। দক্ষিণ আমেরিকার লোকজনও অনেক বাস করে। এছাড়া ফুটবল প্রিয় অনেক দেশের লোকজনও কম নয়। আমি যেমন এই সুযোগ হাতছাড়া করিনি, অন্যরাও তাই। আবার কবে মেসির আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে পারবো জানি না। তাই নিউইয়র্ক থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। কষ্টটা স্বার্থক হয়েছে। '
চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে। শেষ দিকে গোলটি করেছেন লাউতারো মার্টিনেজ। মেসি গোল পেলে খুশিটা আরও বেশি লাগতো বলে জানালেন অসীম, 'মেসির জন্য আমি সহ অনেকে মাঠে গিয়েছিলাম। মেসি গোল না পাওয়ায় একটু খারাপ লেগেছে। তবে দল জিতেছে খুশি। মাঠে প্রায় সবাই আর্জেন্টিনার জার্সি পরে এসেছিল। পুরো স্টেডিয়াম যেন মেসিদের খেলা দেখতে এসেছিল। দল জেতায় সবাই খুশি।'
