আক্রমণ গড়েও গোল পাচ্ছিল না আবাহনী লিমিটেড। বিরতির পর অবশেষে ডেডলক ভাঙে। ৬ মিনিটের ঝড়ে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলকে এলোমেলো করে দিয়েছে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। মারুফুল হকের শিষ্যরা ৩-০ গোলে ইয়ংমেন্সকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে। শুধু আবাহনী নয়, ‘বি’ গ্রুপ থেকে রহমতগঞ্জও একই ব্যবধানে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে নাম লিখিয়েছে।
‘বি’ গ্রুপে বিজয়ী দুই দলেরই তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট। ৫ ফেব্রুয়ারি গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবাহনী ও রহমতগঞ্জ মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচে নির্ধারণ হবে গ্রুপ সেরা। আজকের ফলের পর ইয়ংমেন্স বিদায় নিয়েছে। আগেই অবশ্য নক আউটের লড়াই থেকে মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী ছিটকে গেছে।
মঙ্গলবার কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দুইদলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। ৮ মিনিটে আবাহনীর আসাদুল মোল্লা বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে তালগোল পাকান। তখন গোলমুখ থেকে তড়িৎ শটে বল ক্লিয়ার করেন এক ডিফেন্ডার।
২৪ মিনিটে ইয়ংমেন্স দারুণ সুযোগ পায়। আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের ব্যাক পাস থেকে বল প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন আকবির তুরায়েভ। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তিনি, দ্রুত ছুটে গিয়ে বল গ্লাভসে জমান গোলকিপার।
বিরতির পর আবাহনী ছিল অপ্রতিরোধ্য। তাদের আর আটকে রাখা যায়নি। ৬ মিনিটের ঝড়ে প্রতিপক্ষ তছনছ হয়েছে। ৬৫ মিনিটে গোলমুখ উন্মুক্ত হয় আবাহনীর। এনামুল গাজী ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এক ডিফেন্ডার তাকে ট্যাকল করতে গিয়ে ফেলে দেন। রেফারি নাসির উদ্দিন পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান স্পট কিক থেকে বল জড়িয়ে দেন জালে। দুই মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ায় আবাহনী। ওভারল্যাপ করে উঠে হাসান মুরাদ দলকে দারুণ এক গোল উপহার দিয়েছেন।
৭১ মিনিটে আবাহনী তৃতীয় গোল পেয়ে ইয়ংমেন্সকে পুরোপুরি ছিটকে দেয়। মাহাদী ইউসুফ ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে সমর্থকদের আবারও উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন।
এদিকে, কিংস অ্যারেনাতে রহমতগঞ্জ ৩-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যায়। একজনের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে বক্সে ঢুকে দুজনকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে মিশরের মোস্তফা আব্দুল খালেক দারুণ শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেছেন। ৪১ মিনিটে জীবনের ফ্রি-কিক গোলপিকার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি। পরের মিনিটেই পুরোনো ঢাকার দল ব্যবধান দ্বিগুণ করে। রায়হানের লম্বা থ্রো ইন থেকে জীবনের শট একজন ক্লিয়ার করেছিলেন। তবে স্যামুয়েল বোয়েটেং বক্সের ভেতরে বল পেয়েই জোরালো শটে কাঁপিয়ে দেন জাল। ৭২ মিনিটে রহমতগঞ্জ আরও একটি গোলের দেখা পায়। মাহমুদুল কিরনের কাটব্যাক থেকে ফাহিম নূর তোহা প্লেসিং শটে বল জালে পৌঁছে দেন।