৩০ জানুয়ারি থেকে পিটার বাটলারকে বয়কট করে যাচ্ছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ জাতীয় ফুটবল দলের ১৮ ফুটবলার। কিছুতেই তাদের অনুশীলনে ফেরানো যাচ্ছে না। এমনকি কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ‘মনস্তাত্বিক লড়াই’ চলছে। যদিও এরই মধ্যে ৩৬ জন খেলোয়াড় চুক্তি করায় সাবিনারা কিছুটা চাপে পড়েছেন। যাই চলুক না কেন বাফুফে মেয়েদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে অপেক্ষা করতে চাইছে না।
এরই মধ্যে সানজিদাসহ কেউ কেউ বাফুফে ভবনের জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়েছেন। তবে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না।
জানা গেছে ২৪ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতে নারী দল গেলে তখন ক্যাম্প ছুটি হয়ে যেতে পারে। সেসময় সাবিনাদের জন্য বাফুফে ভবনে থাকাও কঠিন হয়ে যেতে পারে। আবার একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য পদক নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়রা পরবর্তীতে কিছু একটা করতে পারেন বলে আভাস মিলেছে।
আজ বসুন্ধরা কিংস মাঠে বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বাটলার-সাবিনাদের ইসু নিয়ে কিছু বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনও শূন্যতা অপূর্ণ থাকে না। শূন্যতা কিন্তু পূরণ হয়ে যায়। আমরা ভালো কিছুর আশায় হয়তো সাময়িকভাবে বর্তমানকে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও ভবিষ্যতে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় আছি।’
এরপরই সভাপতির কথার পুনরাবৃত্তি টেনে এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সভাপতি কিন্তু বলেছেন যারা অনুশীলনে আসবে তাদের জন্য দরজা উন্মুক্ত আছে। তারা অনুশীলনে যোগ দিলে তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে। তিনি ক্লিয়ার বলে দিয়েছেন। এ নিয়ে কোনও অস্পষ্ট কিছু নেই। তারা আমাদের দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। তাদের আমরা অসময়ে হারাতে চাই না। তারপরও একটা কথা বলতে হয় ডিসিপ্লিন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আমরা তাদের সম্মান দেখিয়ে অপেক্ষা করছি। কিন্তু তাই বলে সম্মান অনন্তকাল দেখানো হবে না।’
এখন পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা দেখার অপেক্ষা।