কদিন আগে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ১২০ মিনিট খেলে টাইব্রেকারে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লম্বা সময় ধরে খেলার ক্লান্তি যেন চেপে বসেছিল তাদের খেলোয়াড়দের ওপর। শনিবার লা লিগায় সেই সুযোগ কাজে লাগায় ভিয়ারিয়াল। শুরুতেই মাদ্রিদ ক্লাবের জাল কাঁপায় তারা। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পে জোড়া গোল করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের তিন পয়েন্ট এনে দিলেন।
২-১ গোলের জয়ে বার্সেলোনাকে তিন পয়েন্টের ব্যবধানে পেছনে ফেলেছে রিয়াল। অবশ্য মাদ্রিদ ক্লাব কাতালানদের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে। রবিবার শীর্ষস্থান দখল করতে বার্সা খেলবে তিন নম্বর দল অ্যাতলেতিকোর সঙ্গে। ২৮ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট রিয়ালের। বার্সা ২৬ ম্যাচ খেলে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। অ্যাতলেতিকো ২৭ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে।
গত বুধবার পেনাল্টি শুটআউটে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোর ৭২ ঘণ্টার ভেতরে আরেকটি ম্যাচ খেলতে নামায় অসন্তোষ ছিল রিয়ালের। সঙ্গে ছিল ক্লান্তি। তার ছাপ পড়েছিল খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে। মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকেও বেঞ্চে রেখেছিলেন।
এসব কিছুর প্রভাব বেশ পড়েছিল রিয়ালের ওপর। এস্তাদিও দে লা সিরামিকাতে শুরুতেই দুইবার আয়োজে পেরেজ পরীক্ষা নেন তাদের কিপার থিবো কোর্তোয়াকে। একবার ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে বল বাইরে পাঠান।
তাতে কর্নার পায় ভিয়ারিয়াল। ওই কর্নার থেকে নেওয়া শটে হুয়ান ফয়েথ কঠিন অবস্থানে দাঁড়িয়ে বাঁ পায়ে বল ঠেলে দেন জালে।
গোল খেয়েই যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে রিয়াল। ১৭ মিনিট পর এমবাপ্পে সমতা ফেরান। ব্রাহিম দিয়াজের শট ডিয়েগো কন্দে সেভ করলেও ফিরতি শটে ফরাসি ফরোয়ার্ড লক্ষ্যভেদ করেন।
ছয় মিনিট পরই এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। লুকাস ভাসকেজের কাটব্যাকে বক্সের মাঝামাঝি বল পান তিনি। তারপর ডান পা দিয়ে একটু সামনে বল বাড়িয়ে লক্ষ্যভেদী শট নেন। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এটি চলতি মৌসুমে এমবাপ্পের ২০তম লিগ গোল। শীর্ষ গোলদাতা বার্সার রবার্ট লেভানডোভস্কির চেয়ে এক গোল পিছিয়ে তিনি।
এগিয়ে গিয়ে রিয়াল প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ভিয়ারিয়ালের ওপর চাপ তৈরি করেন। কোর্তোয়া দারুণভাবে নিকোলাস পেপেকে রুখে দেন।
ভিয়ারিয়াল কোচ মার্সেলিনো গার্সিয়া তোরাল পেপের পরিবর্তে থিয়েরনো ব্যারিকে নামান। তাতে স্বাগতিকদের খেলায় একটু ছন্দ ফেরে। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে রিয়ালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে লিগ ম্যাচে হার এড়াতে পারেনি ভিয়ারিয়াল।
ফয়েথ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরাতে পারতেন। কিন্তু তার ভলি বারের ওপর দিয়ে যায়।
রিয়ালের জয় সুনিশ্চিত করতে আনচেলত্তি পরে ভিনিসিয়ুস ও লুকা মদরিচকে মাঠে নামান। তাদের কারণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হাতে নিয়েছিল ক্লাবটি।
কন্দে সেভ করেন ফেদে ভালভার্দের শট। অন্যদিকে পেরেজের শক্তিশালী প্রচেষ্টা কোর্তোয়ার ক্রসবারের কিছুটা ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে যায়।