সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা থেকে আর এক জয় দূরে বাংলাদেশ। শুক্রবার সেমিফাইনালে নেপালকে হারিয়েছে তারা। ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
গত আসরে অনূর্ধ্ব-২০ দলের টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
দুই দল শুরু থেকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকলেও সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে নেপাল ছিল এগিয়ে। ১৭তম মিনিটে বাঁদিক থেকে তাদের একটি আক্রমণ রুখে দেন বাংলাদেশের গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিন। পাঁচ মিনিট পর নেপালের সাবিন কুমারকে বাধা দেন রক্ষণভাগ।
২৩তম মিনিটে আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। ফয়সালের থ্রু পাস ধরে রিফাত বাঁ পায়ের শট নিলে কর্নার বানান নেপালকিপার।
৩০তম মিনিটে নেপালের একটি প্রচেষ্টা পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। এর চার মিনিট পর বক্সের সামনে থেকে মুর্শেদের ফ্রি কিক পোস্ট ঘেষে বাইরে যায়। ৩৬তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে যান ফয়সাল। তার কাছের পোস্টে নেওয়া শট ফিস্ট করেন নেপাল গোলকিপার ভাক্ত বাহাদুর। হাফটাইম শেষে দুই দলের কেউই গোলের দেখা পায়নি।
৫৫তম মিনিটে কর্নার থেকে বাংলাদেশের একটি প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফেরান নেপালি ডিফেন্ডার মদন পাওডেল।
৬০তম মিনিটে মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে উড়ে আসা বল মাহিনের গ্লাভস ফসকে বেরিয়ে গেলেও সামনে থাকা সুজান দাঙ্গল নাগাল পাওয়ার আগেই ঝাঁপিয়ে আঙুলের টোকায় দূরে পাঠান তিনি।
অবশেষে ৭৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফয়সালের কর্নারে দূরের পোস্টে আশিকুর রহমান হেডে জাল কাঁপান।
সাত মিনিট পর মানিকের নিস্বার্থ পাস ধরে অধিনায়ক ফয়সাল নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে বক্সে ঢুকে ভালো জায়গায় থেকেও লক্ষ্যে শট না নিয়ে ফয়সালকে দিয়ে গোল করান মানিক।
৮৬তম মিনিটে বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা সুজান জোরাল শটে পরাস্ত করেন মাহিনকে। ব্যবধান এক গোলে নামিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় নেপাল।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ফয়সাল নিজের দ্বিতীয় গোল কতে পারতেন। কিন্তু বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারকে ভেদ করতে পারেননি তিনি।
ফাইনাল রবিবার, বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হবে আজ রাত ৮টায় ভারত ও মালদ্বীপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শেষে।