প্রথমবারের মতো মর্যাদার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপ্পে।
মৌসুমের শেষ ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন তিনি। সব মিলে স্পেনে নিজের অভিষেক মৌসুমে লা লিগায় তার গোল সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১। তাতে শুধু ইউরোপের শ্রেষ্ঠ গোলদাতাই হননি ফরাসি ফরোয়ার্ড, লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও ঘরে তুলেছেন।
মূলত মৌসুমের শেষ দিকের জোড়া গোল এমবাপ্পেকে তালিকার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। অথচ স্পোর্তিংয়ের ভিক্টর গিয়াকোরেস ৩৯ গোল করেও তালিকায় দুইয়ে অবস্থান করছেন! ২৯ গোলে লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহার অবস্থান তৃতীয়।
গিয়াকোরেস এমবাপ্পের চেয়ে ৮ গোল বেশি করলেও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র জন্য নির্ধারিত র্যাঙ্কিং সিস্টেমই ফরাসি তারকাকে এগিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে গোল সংখ্যার পাশাপাশি লিগের মানও র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলে। যেমন ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ তথা প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, বুন্দেসলিগা সিরি আ ও লিগ ওয়ানে প্রতি গোলের জন্য বরাদ্দ থাকে দুই পয়েন্ট। তার বাইরে যেসব খেলোয়াড়রা ইউরোপের ৬ষ্ঠ থেকে ২২তম র্যাঙ্কিংয়ে থাকা লিগে খেলে থাকেন (যেমন পর্তুগিজ প্রিমেইরা লিগা) , তাদের প্রতি গোলের জন্য ধরা হয় ১.৫ পয়েন্ট। ঠিক এই কারণেই এমবাপ্পে এগিয়ে গেছেন।
মোহাম্মদ সালাহ যদি রবিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করতেন, তাহলে এমবাপ্পের সঙ্গে গোল্ডেন শু ভাগাভাগি করতেন তিনি। কিন্তু ১-১ ড্র হওয়া ম্যাচে তিনি মাত্র একটি গোলই করতে পেরেছেন।
এমবাপ্পে রিয়ালের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন শু জয়ের গৌরব অর্জন করেছেন। তার আগে হুগো সানচেজ (১৯৮৯-৯০) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (২০১০-১১, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫) এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।