গত আগস্টের শেষ দিকে জয়া চাকমা সুখবর দিয়েছিলেন- প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফিফার নারী রেফারি হতে যাচ্ছেন। ফিটনেস টেস্টে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এখন শুধু ফিফার কাছ থেকে স্বীকৃতি মেলার অপেক্ষায়। কিন্তু তিনি শুধু রেফারিং নয়, কোচ হিসেবেও দারুণ সাফল্য পাচ্ছেন সাবেক এই ফুটবলার।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের সুব্রত কাপ অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের ফুটবলে বিকেএসপিকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন করেছেন। আর নিজেও হয়েছেন সেরা কোচ, এই মর্যাদাও পেয়েছেন টানা তৃতীয়বার। পরপর তিনবার সেরা কোচ হওয়ার উচ্ছ্বাস তিনি প্রকাশ করলেন বাংলা ট্রিবিউনের কাছে, ‘বিকেএসপিকে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন করেছি। এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। পাশাপাশি সেরা কোচ হয়েছি, বলতে পারেন দ্বিগুণ আনন্দ লাগছে।’
লক্ষ্য তার বহুদূর। এখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না জয়া। রেফারিংয়ের পাশাপাশি মেয়েদের কোচিং পেশাকে নিয়ে যেতে চাইছেন অনন্য উচ্চতায়। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন তার, ‘রেফারিংয়ের পাশাপাশি কোচের পেশা বেশ উপভোগ করছি। ভবিষ্যতে সুযোগ হলে জাতীয় দলের ডাগ আউটে দাঁড়াতে চাই। আমি মনে করি এটা সম্ভব। চেষ্টা করলে অনেক কিছুই তো হয়।’
বর্তমানে এএফসি ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচ জয়া। আগামীতে এএফসি ‘এ’ ও প্রো লাইসেন্সও করার ইচ্ছা তার, “কোচিংয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিতে চাই। গত বছর ‘বি’ লাইসেন্স করেছি। আগামী এক বছর পর ‘এ’ লাইসেন্স কোর্স করতে পারবো। এরপর প্রো লাইসেন্স করারও ইচ্ছা আছে। মেয়েদের মধ্যে সেরা কোচ হওয়ার লক্ষ্য আমার।’
মেয়েদের খেলাধুলায় দৃষ্টান্ত রাখতে চাইছেন জয়া, ‘দেখুন আমি মেয়েদের ফুটবলে একই সঙ্গে কোচিং ও রেফারিং করে যাচ্ছি। প্রতিকূলতা থাকলেও থেমে নেই। এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বরং রেফারিং আমাকে কোচিংয়ে সাহায্য করছে। আমি চাই, আমাকে দেখে অন্য মেয়েরা যেন এগিয়ে আসে। এতে করে মেয়েদের খেলাধুলার চর্চাটা আরও বাড়বে।’