২০১০ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ) স্বর্ণজয়ের পর নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসেও স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই অর্জনকে বড় হিসেবে দেখছেন এসএ গেমসের স্বর্ণ জয়ী দলের সদস্য আফিফ হোসেন। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এসএ গেমসের সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসে খেলা এই ক্রিকেটার।
গেমসে নিজেদের মূল্যায়নে আফিফ বলেছেন, ‘আমাদের সবার জন্যই বড় অর্জন। শুরু থেকে আমাদের ভাবনা ছিল, এটি অর্জন করতে পারলে আমরা অনেক খুশি হতে পারবো। আমরা সবাই খুব খুশি এই অর্জনে। এমন কিছু করার সুযোগ সবার জন্য আসে না। আমাদের জীবনে এই সময়টা এসেছে, আমরা অনেক ভাগ্যবান যে এমন একটি টুর্নামেন্ট খেলতে পেরেছি ও সাফল্য নিয়ে ফিরতে পেরেছি।’
এমন টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি এই দলের। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখানে খেললেও কাগজে কলমে তা অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আফিফ তাই বললেন এমন টুর্নামেন্টে খেলতে রোমাঞ্চিত ছিলেন তারা, ‘আমরা এরকম টুর্নামেন্ট আগে কখনও খেলিনি। সবাই অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। শুরু থেকে সবাই চেষ্টা করেছি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে।’
ভারত ও পাকিস্তান কেউই এসএ গেমনে দল পাঠায়নি। অনভিজ্ঞ ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলে স্বর্ণজয় করেছে আফিফ-শান্তরা। তবুও এই সাফল্যকে খাটো করতে নারাজ আফিফ। কেননা নেপালের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ যুদ্ধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে, ‘দেখতে যতটা সহজ মনে হয়েছে, কাজটা অতটা সহজ ছিল না। শুরুতে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে, ঠাণ্ডা ছিল বেশি। উইকেট অনেকটাই আলাদা ছিল, রান করাটা কঠিন ছিল। মানিয়ে নিতে পেরেছি বলেই সাফল্য পেয়েছি।’
রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবেন আফিফ হোসেন। বিপিএলে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে চাই। নিজের সেরাটা দিতে চাই। এর আগে বিপিএল খেলেছি, আগের ভুলগুলো শুধরে এবার ভালো খেলতে মুখিয়ে আছি।’
লিটন দাস, আফিফ হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম, মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি, নাহিদুল ইলাম, রবি বোপারা, হজরতউল্লাহ জাজাই, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ইরফানদের নিয়ে রাজশাহীর দল। যাদের নেতৃত্বে আন্দ্রে রাসেল। এই দল নিয়ে দারুণ আশাবাদী আফিফ, ‘টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। শুরুটা ভালো করতে পারলে টুর্নামেন্ট ভালো যায় সব দলেরই। আমরা আশা করছি, ভালো শুরু করতে।’