X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

চাহিদার এক-চতুর্থাংশ মেটাচ্ছে দেশে তৈরি মোবাইল ফোন

হিটলার এ. হালিম
২৯ মে ২০১৯, ০৮:০০আপডেট : ২৯ মে ২০১৯, ০৮:০০

মোবাইল ফোন দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন মোট চাহিদার ২২ শতাংশ পূরণ করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ তা ৩০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, আরও কয়েকটি কোম্পানির বাংলাদেশে উৎপাদন শুরুর কথা। সেটি হলে আগামী বছরের শেষ নাগাদ দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন বাজারের ৯০ ভাগ জায়গা দখল করবে।
দেশে বর্তমানে স্যামসাং, ওয়ালটন, সিম্ফনি, আইটেল ও ফাইভ স্টার ব্র্যান্ডের মোবাইল তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ফাইভ স্টার নামের একটি ব্র্যান্ডও মোবাইল ফোন তৈরি করছে দেশে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শিগগিরই উই মোবাইল উৎপাদনে আসবে। অপো মোবাইলও বাংলাদেশে মোবাইল উৎপাদনের কথা ভাবছে।
জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা বিফলে যায়নি। দেশের মানুষ এখন দেশে তৈরি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। দেশের মোট চাহিদার ২২ শতাংশ মোবাইল এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। আরও নতুন নতুন উৎপাদক এলে এই হার আরও বাড়বে।’ তিনি দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের এ সফলতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) সূত্রে জানা গেছে, দেশে মোবাইলের মার্কেট সাইজ বা চাহিদা বছরে ৩ কোটির। সেই হিসাবে মাসে প্রয়োজন ২৫ লাখ মোবাইল ফোনের। এর মধ্যে দেশেই তৈরি হচ্ছে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার মোবাইল, যা চাহিদার ২২ শতাংশ মেটাচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে তা ২৫ শতাংশও হতে পারে।
বিএমপিআইএ সূত্র জানায়, স্যামসাং প্রতি মাসে তৈরি করছে দেড় লাখ মোবাইল, ট্রানশান বাংলাদেশ তৈরি করছে ২ লাখ আইটেল মোবাইল, সিম্ফনি তৈরি করছে এক লাখ এবং ওয়ালটন তৈরি করছে ৬০ হাজার পিস মোবাইল।
বিএমপিআইএ সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে মোট চাহিদার ৮০-৯০ শতাংশ মোবাইল দেশেই তৈরি করা সম্ভব হবে।’
তিনি জানান, ১০০ শতাংশ মোবাইল দেশে তৈরি করা কখনও সম্ভব হবে না। কারণ হিসেবে তিনি কিছু ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করে বলেন, সেগুলো কখনও এখানে উৎপাদনে আসবে না।
বিএমপিআইএ সভাপতি জানান, দেশে তৈরি মোবাইল ফোন ক্রেতারা অন্তত ১৪-১৫ শতাংশ কম দামে কিনতে পারছেন। কেননা, দেশে তৈরি ফোনে ১৪ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। আর আমদানি করা ফোনে কর দিতে হয় ৩২ শতাংশ।
রুহুল আলম আল মাহবুব মনে করেন, বিদ্যমান কর কাঠামোতে পরিবর্তন আনলে দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম আরও কমবে। আগামী বাজেটে সরকার বিষয়টির প্রতি খেয়াল রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। হাইটেক পার্ক বা হাইটেক পার্কের বাইরে তৈরি ফোনেও কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হলে এই শিল্প শুরু থেকেই একটা শক্ত ভিত পাবে বলেও মত দেন তিনি।
ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড দেশে মোবাইল কারখানা গড়ে তুলেছে। এতে ‘আইটেল’ ব্র্যান্ডের মোবাইল তৈরি হয় প্রতি মাসে ২ লাখ পিস।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘দেশে আইটেলের চাহিদা রয়েছে মাসে ৩ লাখ পিসের। আমরা তৈরি করতে পারি ২ লাখ। এক লাখ পিস এখনও আমদানি করতে হয়।’ আগামীতে এই এক লাখ ফোনও দেশে তৈরি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের আরেক ব্র্যান্ড রয়েছে ‘টেকনো’ নামে। শিগগিরই এ ব্র্যান্ডটিও উৎপাদনে যাবে।

 

/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা