‘আমার নাম আফরিন’। রোবটটি নিজের নাম বলতে পারে। যে যা জানতে চাইছে সে বলছে। কখনও চোখ ঘুরিয়ে ডানে, বামে তাকাচ্ছে। বিস্ময়ে চোখ বড় বড় করছে। মিষ্টি করে হাসছে। ডাকলে সাড়া দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রোবটটির দেখা মিললো ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’র রোবটিক জোনে।
রোবটটি বিদেশে তৈরি নয়। দেশের তরুণ ডেভেলপাররা রোবটটি তৈরি করেছেন। আইসিটি বিভাগের এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের ‘আই ল্যাব’ রোবট আফরিনকে তৈরি করেছে। নির্মাতারা বলেন, আগামীতে রোবটটির আরও উন্নয়ন করা হবে। এখন শুধু মাথা নাড়াতে পারছে আফরিন। ভবিষ্যতে হাত ও পা নাড়াতে পারবে।
রোবটিক জোনেই দেখা হলো রোবট আলপনার সঙ্গে। চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির খবর অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে আলপনা।
আলপনাকে তৈরি করেছে লেজারাস রোবটিকস। প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফারহান আহমেদ জানান, তারা তিনজন মিলে আলপনাকে তৈরি করেছেন। এটি একটি হিউম্যানয়েড রোবট। প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি আলপনাকে মানবীর রূপ দেওয়া হয়েছে, যাতে নারীরা তাদের সমস্যা সহজে বলতে পারে। আলপনা বর্তমানে নড়াচড়া করতে পারে, মাথা ঘোরাতে পারে, এমনকি বিভিন্ন ধরনের এক্সপ্রেশনও দিতে পারে। চোখের পলকও ফেলতে পারে।
এছাড়া দেখা হলো আরও একটি রোবটের সঙ্গে। রোবটটি প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত ক্রোড়পত্র নিয়ে মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দর্শনার্থীরা রোবটের কাছ থেকে ক্রোড়পত্র সংগ্রহ করছেন।
এবারের প্রদর্শনীতে কয়েকটি জোন থাকলেও দর্শকের বেশি সমাগম দেখা গেলো রোবটিক জোনে।
প্রদর্শনী সম্পর্কে আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ উল মুনীর বলেন, আমাদের এবারের প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য মেড ইন বাংলাদেশ। দেশে তৈরি প্রযুক্তি পণ্য প্রদর্শনীতে দেখিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতার জায়গাটা চিহ্নিত করতে চেয়েছি। এছাড়া প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং সেবাও দেখানো হচ্ছে।
প্রদর্শনী শেষ হচ্ছে বুধবার (১৬ অক্টোবর)। শেষ দিনও তা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা অবধি চলবে।