বিশ্বজয় করার মতো প্রযুক্তি দক্ষতা রয়েছে আমাদের তরুণদেরও- জাতীয় হ্যাকাথন-২০১৬-এর উদ্বোধনী পর্বে এ কথা বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশ হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হ্যাকাথনের মধ্য দিয়েই তৈরি হয়েছে মেসেঞ্জারের মতো ফেসবুক নানা ধরনের ফিচার সম্মৃদ্ধ। আমরা চাই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে এই হ্যাকাথন থেকে এমন কিছু উদ্ভাবন হোক যা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করেছি। বিশ্বে আমাদের এই হ্যাকাথন অন্যতম সেরা হ্যাকাথন।
আইসিটি বিভাগের আয়োজনে শুরু হওয়া দুইদিনের জাতীয় হ্যাকাথনে সারাদেশের প্রায় ২ হাজার প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী, অ্যাপ নির্মাতা অংশ নিচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে নির্বাচিত ১০টি বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের হ্যাকাথন। কৃষি উৎপাদন, নবজাতক ও শিশু, সড়ক দুর্ঘটনা, শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষক, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, জ্বালানি সক্ষমতা, শহরের পরিবেশ, টেকসই পর্যটন, সামুদ্রিক সম্পদ ও দুর্নীতি- এসডিজির এই ১০টি লক্ষ্য অর্জনে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে মোকাবেলা করা যায় ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা সলিউশনের প্রোটোটাইপ (নমুনা সমাধান) তৈরি করবেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগেরেউপ-সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২১ মার্চ চলে এই কার্যক্রমের নিবন্ধন কার্যক্রম। প্রথমিক আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচিত ৩৭০টি প্রোগ্রামার দলকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বেসিসের পরিচালক আশ্রাফ আবিরের সঞ্চালনায় আরও অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। হ্যাকাথনে ১০ বিভাগে বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন অর্থ, সম্মাননাসহ আরও নানা সুবিধা। যেমন আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপসহ সব বিজয়ীকে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা, বাংলালিংকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য রয়েছে ৫০ হাজার করে মোট ৫ লাখ টাকা এবং প্রথম রানার আপদের প্রত্যেকের জন্য একটি করে ট্যাব। ফেসবুক দিচ্ছে ৮০ হাজার ডলারের ফেসবুক স্টার্ট সুবিধা এবং কিউবি ৫ মাসের ইন্টারনেট সুবিধাসহ ১০ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেবে মডেম। এ ছাড়াও সেরা উদ্ভাবনগুলোকে বাস্তাবায়নের জন্য আইসিটি বিভাগ ভবিষ্যতে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
/এইচএএইচ/