ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দুটি শিল্প বিপ্লব পুরোপুরি ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লব আংশিক মিস করার পর পৃথিবীতে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বিপ্লবের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ। এর তিন বছর পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শব্দটি প্রথম উচ্চারিত হয়েছে। আট বছর পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণা প্রকাশিত হয়। আমরা ডিজিটাল হাইওয়ে বা ডিজিটাল সংযোগের মহাসড়ক তৈরি করছি। একইসঙ্গে ইন্টারনেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালনে আমাদেরই উদ্যোগী হতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আইপিভি (ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন)-৬-এ আমাদের এখনই যেতে হবে। সেই সঙ্গে টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ফাইভ-জি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন এবং বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের ডাটার যুগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ সম্পদের নাম হচ্ছে ডাটা। আমি চাই আমার ডাটা আমার দেশে থাকবে।’ মন্ত্রী ডাটা নিজের হাতে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে একটি যন্ত্র সভ্যতার বিপ্লব আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘জাপানসহ পশ্চিমা বিশ্ব এখন ডিজিটাল মানবিক বিপ্লব তথা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের বা সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরোর কথা ভাবছে। এখন আইটি প্রযুক্তিতেই সীমাবদ্ধ থাকা নয়, ডিজিটাল প্রযুক্তিই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মূল শক্তি।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ডাটা অ্যানালাইসিস হবে সবচেয়ে দামি।’ তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের উপযোগী করে তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মূল প্রবন্ধে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিগ ডাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে ড. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।’ তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছতে ফাইভ-জি প্রযুক্তি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন।