X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেলায় জেলায় করোনার টিকা নিলেন জনপ্রতিনিধিসহ পেশাজীবীরা

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:১৮আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:১১

রাজধানীর পাশাপাশি দেশের জেলা ও উপজেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদেরই প্রথমে ভ্যাকসিন নিতে দেখা গেছে। এছাড়াও প্রশাসনিক ও বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরাও প্রথম দিনে করোনার টিকা নিয়েছেন।
আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য নিয়ে বিভিন্ন জেলার টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো: 

যশোর 

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরেও এর উদ্বোধন হয়েছে। যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ আজ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন।

রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তিনি এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সবার উদ্দেশে বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন কাজী নাবিল আহমেদ এরপর একই স্থানে যশোরের জেলা প্রশাসক, ডাক্তার, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি)  সকাল পৌনে ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চারতলায় ভ্যাকসিন বুথে তিনি টিকা নেন।

এরপর একে একে ভ্যাকসিন নেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, বিদ্যুৎ বড়ুয়া এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

টিকা নিচ্ছেন নওফেল ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দৈনিক জনকণ্ঠ’র উপ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোয়াজ্জেমুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ১১টা ২০ মিনিটে ভ্যাকসিন নিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত শরীরে কোনও ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। এর আগে আমি অনেক টিকা নিয়েছি। করোনা ভ্যাকসিন ওইসব টিকার মতোই মনে হচ্ছে। তাই এই ভ্যাকসিনকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

রংপুর

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮টি বুথে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা প্রথমে টিকা নিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এরপর টিকা নেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু , অর্থপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক হামিদুর রহমান। এর পরেই চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা টিকা নেবেন।

মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা টিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজবে কান দিয়ে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু টিকা গ্রহণ করে বলেন, ‘টিকা দেওয়ার সময় কোনও ব্যথা অনুভূত হয়নি এবং দেওয়ার পরও কোনও সমস্যা হয়নি। আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক দেশের আগে টিকা এনে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন, এ জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং সবাইকে করোনার টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’  

জেলায় রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ৫শ’ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে।

নোয়াখালী

নোয়াখালীতে প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারাও ভ্যাকসিন নিন, কোনও গুজবে কান দেবেন না। যতদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকবে দেশ, নিরাপদে থাকবে বাংলাদেশ।’

টিকা নেন আবদুল কাদের মির্জা এদিকে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম টিকা নিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা।

খুলনা

সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রবিবার সকালে সর্বপ্রথম টিকা গ্রহণের মাধ্যমে খুলনায় করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

খুলনা জেলায় করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে মহানগরে ১৩টি কেন্দ্রের জন্য ২৯টি টিম এবং প্রত্যেক উপজেলায় তিনটি করে ২৭টি টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে দুই জন করে টিকাদানকারী এবং চার জন করে ভলান্টিয়ার কাজ করছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।  প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে একশত ৫০ জন হিসাবে দিনে ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে।

নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খুলনা মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল আহাদ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেএম আব্দুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানাসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে প্রথম করোনার টিকা নিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার।

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার পর মানিকগঞ্জের ৯টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল পৌনে ১১টার দিকে নার্সিং কলেজ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক এস. এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ একযোগে এই তিন জন টিকা গ্রহণ করেন। পরে অন্যদের টিকা দেওয়া হয়।

করোনার টিকা নেওয়ার পর জেলা প্রশাসক এস. এম ফেরদৌস বলেন, যেসব বিজ্ঞানী এ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। করোনা প্রতিরোধে সকলকে এ ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মানিকগঞ্জে একসঙ্গে টিকা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক (মাঝে), পুলিশ সুপার (তার বামে) ও সিভিল সার্জন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর আমার কোনও খারাপ লাগেনি। সুস্থ থাকতে হলে সবার এ ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ৮টি, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৮টি, পুলিশ হাসপাতালে ১ এবং উপজেলাগুলোতে ৩টি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ২টি টিম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রিজার্ভ থাকবে। প্রতিটি টিমে ২ জন করে টিকাদান কর্মী ও ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, জেলায় ৪৮ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৮২৭ জন অ্যাপসের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

রাজশাহী

সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

রবিবার (ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে তিনি করোনার টিকা নেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন আমার কাছে নিরাপদ মনে হয়েছে। কোনও ধরনের ব্যথা অনুভব করিনি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনোরকম অস্বাভাবিকও মনে হয়নি। তাই ভয় না পেয়ে সবার প্রতি আমি আহ্বান জানাবো ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন। করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ থাকুন।’

টিকা নিচ্ছেন এমপি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বাদশার টিকা নেওয়ার পর তার সহধর্মিণী অধ্যাপিকা তসলিমা খাতুন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এবং সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার করোনার টিকা গ্রহণ করেন। এরপর রামেক হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিতে শুরু করেন।

রাজশাহী শহরে মোট তিনটি কেন্দ্রে রবিবার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। অন্য দুটি কেন্দ্র হলো—বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল। দুপুর ১২টায় পুলিশ হাসপাতালে টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার জানান, রাজশাহীতে উপজেলা পর্যায়ে ১০টি কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ উপজেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এর বাইরে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশেষায়িত হাসপাতালে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলামকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক এবং সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার এস এম সাকিবুর রহমান ভ্যাকসিন নেন। পরে অন্যদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সিনিয়র স্টাফ নার্স রমা রানী ভক্ত বিশিষ্টজনদের ভ্যাকসিন পুশ করেন।

এর আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সারাদেশের মতো গোপালগঞ্জও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিল। এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আয়শা সিদ্দিকা, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অত্যন্ত সহজ। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আমি আলাদা কিছু অনুভব করিনি। এটিতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটি অন্য সব টিকার মতোই। তাই নিঃসংকোচে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান করছি।’

টিকা নিচ্ছেন গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভয়ভীতি ও কুসংস্কার ছিল, আমরা ভ্যাকসিন নেওয়াতে তা দূর হবে।এই টিকা নিয়ে আমরা করোনার সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করলাম। এই ব্যধিকে প্রতিহত করতে পারবো বলে আশা করি।’

সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, ‘যারা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেননি তারাও টিকাদান কেন্দ্রে এলে তাদের টিকা দেওয়া হবে।’

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রবিবার ৪৮০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ জেলায় মোট ৫ কেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুলিশদের জন্য ৫ উপজেলায় আলাদা ৫টি বুথ স্থাপন করে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

কুষ্টিয়া 

করোনার টিকা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘বিরোধীরা কেবল বিরোধিতার স্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে চলেছেন। কিন্তু সর্বশেষ এটাই চরম সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে ভ্যাকসিন এসেছে এবং পরিশেষে দেশবাসীর মধ্যে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।’

রবিবার (৭ ফেব্রুয়ার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে জেলার ভ্যাকসিন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রাবেয়া আক্তার তাকে টিকা দেন।

টিকা নেন মাহবুব-উল আলম হানিফ মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘যখন থেকে দেশে টিকা নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন থেকেই দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা  অত্যন্ত নেতিবাচক কথাবার্তা বলেছেন। তাদের কাছ থেকে এমনও কথা শুনতে হয়েছে যে, এইবার করোনায় দেশের রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার সক্ষমতা সরকারের নেই। কিন্তু তাদের এই ধারণা, ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষাকে মিথ্যা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে এই সংকট মোকাবিলা করেছেন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেশে আসার পরও এরা মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ঢুকিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছেন। তারা বলেছেন, যে ভ্যাকসিন দেশে এসেছে তা স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এটা আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে, প্রমাণ করতে হবে এই ভ্যাকসিনে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই ইত্যাদি। এই প্রচারণা চালিয়ে তারা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোছা. নুরুন নাহার বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টিকাদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বুথে প্রথমে টিকা নেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি। সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে আরও যারা টিকা নিয়েছেন তারা হলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক শিশির চক্রবর্তী, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব, সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল, সিলেট ওসমানী মেডিক্যালের কার্ডিওলোজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহবুদ্দিন, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সিলেট বিএমএ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান রোমান, হাসপাতালের সেবিকা রাখি রানী সাহা,  সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিটি কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ  প্রমুখ।

জানা গেছে, সিসিক এলাকায় টিকা পেতে শনিবার পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২ হাজার ৭শ’ জন। নির্দেশনা অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৭শ’ জনকে আজ  ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এসএমএস পাঠানো হয়। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন-তারা আইডি কার্ড নিয়ে যে সেন্টারে যাবেন-ওই সেন্টারেই তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে।

কুমিল্লায়  টিকা নিচ্ছেন জেলা প্রশাসক

কুমিল্লা 

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সস্ত্রীক প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর পরে টিকা নেন কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নকারীদের মধ্যে রবিবার সকালে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরকে টিকা দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এর পরপরই  জেলা প্রশাসকের স্ত্রী মনিরা নাজনীন, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম ও কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কলিম উল্লাহসহ প্রশাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা টিকা গ্রহণ করেন।

টিকা গ্রহণের পর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, কুমিল্লা জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা আমি নিলাম। দ্বিতীয় টিকাটি জেলা পুলিশ সুপার নিয়েছেন। আমার অনুভূতি হচ্ছে টিকা গ্রহণে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই। টিকা গ্রহণের সময় মনে হয়েছে সাধারণ ইনজেকশন। টিকা গ্রহণের পর ১০-১৫ মিনিট এক জায়গায় বসে ছিলাম। কোন ধরনের ব্যথা অনুভব হয়নি। সেই সাথে আমার স্ত্রীও আজকে টিকা নিয়েছেন। আমরা চাই কুমিল্লাবাসী সকলই ক্রমান্বয়ে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন (টিকা) গ্রহণ করবেন।

কুমিল্লা সেনানিবাসে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন

টিকা গ্রহণ করে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ ছিল খুবই স্বাভাবিক বিষয়। অতিরিক্ত কোনও ব্যথা অনুভব হয়নি টিকা গ্রহণের সময়।

তিনি বলেন, আমরা পুরো করোনাকালীন সময়ে মাঠে থেকে যুদ্ধ করেছি। মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি। টিকা হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। কিন্তু তারপরও আমাদেরকে মাস্ক ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে আমরা করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবো।

এদিকে একইদিন দুপুরে কুমিল্লা সেনানিবাসের অলিপুর সৈনিক ক্লাবে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার পর তিনি প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। পরে কর্নেল স্টাফ করোনা ভ্যাকসিন নেন।

নাটোর

সারা দেশের সঙ্গে নাটোরের সকল উপজেলায় একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। চলে দুপুর পর্যন্ত।

সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় নাটোর জেলা সদর হাসপাতালে এই টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ। এসময় তিনি ছাড়াও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা,পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান ও নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন। ওই হাসপাতালে প্রথম টিকা নিয়েছেন সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোহাম্মদ আলী। এরপর টিকা গ্রহণ করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী আনন্দ গোপাল,সদর উপজেলা ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম ও সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু।

সিংড়া উপজেলায় টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি ঢাকাতেই টিকা গ্রহণ করায় নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে অন্যদের অভয় দেন। তার উপস্থিতিতে টিকা নেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম।

লালপুর উপজেলায় টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। সেখানে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট কার্তিক চন্দ্র।

গুরুদাসপুর উপজেলায় টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। সেখানে প্রথম টিকা নেন ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাক্তার মেসবাউল ইসলাম সেতু।

বাগাতিপাড়া উপজেলায় টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গোকুল। সেখানে প্রথম টিকা নেন আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাক্তার ফরিদুজ্জামান।

অপরদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলায় টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এমপি আব্দুল কুদ্দুস। সেখানে প্রথম টিকা নেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স এনরিটা রোজারিও। এরপরই টিকা নেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।

চাঁদপুর

চাঁদপুরে প্রথম দিন করোনা টিকা নিলেন ডিসি, সিভিল সার্জন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রসহ  ১৪৮ জন । রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে করোনা টিকাদান কেন্দ্রে টিকাদান শুরু হয়। এর আগে সকাল ১০টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এইদিন প্রথমে টিকা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এরপর টিকা গ্রহণ করেন ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের নার্স ফেরদৌসী জাহান লাভলী, ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ফোকাল পারসন ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা রুবেল,  সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ ও চাঁদপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. সহিদ উল্লাহ।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় প্রথম দিন ১৪৮ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে।  প্রথম ধাপে জেলায় ৩৬ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে। এক মাস পর তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আমি এই টিকা নিয়েছি । আশা করি, আমাদের দেখাদেখি আমার চাঁদপুরের সবাই এই টিকা নিতে আগ্রহী হবে।’

খাগড়াছড়ি
সারাদেশের মতোপার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও আনুষ্ঠানিক ভাবে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। দুপুরে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের ৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে সামরিক সদস্যদের করোনার টিকা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এ সময় খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী রেজা, সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখনও করোনার ভ্যাকসিন পায়নি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল নাগরিক ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে বলেও জানান তিনি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, খাগড়াছড়ি জেলায় সম্মুখ সারির ৪ হাজার ৬শ ২১ জন করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন।

কুড়িগ্রামে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার

কুড়িগ্রাম

মহামারি কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) মোকাবিলায় সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নব নির্মিত ভবনে স্থাপিত টিকা দান বুথে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপরই ভ্যাকসিন নেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন, বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

ভ্যাকসিন গ্রহণ করে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছি জনগণকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য। নিজেকে সুরক্ষা রাখতে এবং এই কর্মসূচি সফল করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’

বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার ভ্যাকসিন নিয়ে বের হয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি যে সরকার আমাদেরকে এই সুযোগ দিয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনও সমস্যা বোধ করছি না। আশা করি আমাদের দেখে সাধারণ মানুষও ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন।’

রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক বলেন,‘আমরা যাতে টিকা নিয়ে নিজে সুরক্ষিত থাকি এবং অপরকেও সুরক্ষিত রাখি, এই উৎসাহ বোধ তৈরি করার জন্য এই টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন। আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে প্রথম দিনেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করলাম যাতে সবার মাঝে বিষয়টির প্রভাব পড়ে এবং গাইড লাইন অনুযায়ী সকলে রেজিস্ট্রেশন করেন।’

পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) রূহুল আমীনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

‌বান্দরবান
বান্দরবা‌নে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর টিকাদান অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ক‌রেন বান্দরবান সেনানিবাসের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক, এনডিসি, এফডব্লিউসি, পিএসসি।

র‌বিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সা‌ড়ে ১২ টার সময় বান্দরবান সেনানিবাসের ২৬ বীর এর প্রশিক্ষণ মাঠে বেলুন ও পায়রা উ‌ড়ি‌য়ে‌ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর টিকা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধধন করা হয়।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ‌স্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছ‌মিন পারভীন তীবরী‌জি, পুলিশ সুপার জে‌রিন আখতার, বান্দরবান সি‌ভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু, বান্দরবান সদর উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, বান্দরবান পৌর মেয়র ইসলাম বেবীসহ বান্দরবান সেনানিবাসের কর্মকর্তারা।

এসময় ব্রি‌গেড কমান্ডার ব‌লেন, বান্দরবান জেলায় এ যাবত ৯৪৫ জন ক‌রোনায় আক্রান্ত হ‌য়ে‌ছে। এরম‌ধ্যে ৯৪৩জন সুস্থ হ‌য়ে‌ছেন ও দুইজন মারা গেছেন। তি‌নি ব‌লেন, বান্দরবা‌নের মানু‌ষের স‌চেতনতার কার‌ণে আক্রা‌ন্তের হারের তু্লনায় মৃত্যুর হার কম ছিল। তি‌নি ব‌লেন, আজকে এ কর্মসূচি শুরু হ‌য়ে‌ছে এবং একবছ‌রের ম‌ধ্যে আমরা দেশের ৩ কো‌টি মানুষ‌কে টিকা দি‌তে পারবো।

প্রথম দি‌নে সেনাবা‌হিনীর ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম টিকা নেন ক্যা‌প্টেন শা‌কিল। এসময় তা‌কে ফুল দি‌য়ে শু‌ভেচ্ছা জানান ব্রি‌গেড কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক।

এর আগে সকা‌লে বান্দরবান সদর হাসপাতা‌লে প্রথম টিকা নিয়েছেন জেলা প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মারমা। এছাড়া জেলা জজ মো. এহসানুল হক ও জেলা প‌রিষ‌দের নির্বাহী এটিএম কাউসার ও টিকা নেন।

বান্দরবা‌নে ৬৬৫ রে‌জি‌স্ট্রেশন ক‌রে‌ছে। প্রথম দি‌নে বান্দরবান সদর হাসপাতা‌লে ৬৪ জন‌কে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি রাখা হয়। বান্দরবা‌নে প্রথম ধা‌পে টিকা এসেছে ১২ হাজার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে দুপুর পৌনে ১টায় করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলার ৩২ লাখ গণমানুষের পক্ষে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। এরপর টিকা নেন চিকিৎসকদের পক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা.মো. আবু সাঈদ ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ। পরে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার সদস্য ও কর্মীরা টিকা গ্রহণ করেন।
টিকা নেওয়ার পর জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষার পাশপাশি সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ করার জন্যেই প্রথমে এই টিকা নিয়েছি। সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি সে টিকা গ্রহণ করে নিজেকে সুরক্ষিত করেছি। পাশাপাশি আমার নাগরিক দায়িত্ব পালন করেছি। অনেকে হয়তো ভাবছেন, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা। সেজন্য জেলা প্রশাসক হিসেবে আমিই প্রথম টিকা গ্রহণ করেছি। এতে করে সবাই বুঝতে পারবে টিকা নিয়ে উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে। এই টিকাতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, অন্য কোনও সমস্যাও হয় না।

নিজে টিকা গ্রহণ করে সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ জানান, আমি নিজে টিকা নিয়েছি। আমি সকলকে আহ্বান করে একটি তথ্য দিতে চাই যে এই টিকার মাধ্যমেই আমরা করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে পারবো। সেজন্য সবাই টিকা গ্রহন করবেন। প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী টিকা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল জনগোষ্ঠী এই টিকাদানের আওতায় আসবে।

টিকা নিচ্ছেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন

পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে সকাল সাড়ে ১১টায় আধুনিক সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এরপর পঞ্চগড়-০১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন ডা. মো ফজলুর রহমান, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, পঞ্চগড়ের সিনিয়র সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ টিকা গ্রহণ করেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান জানান, প্রথম দিনে পঞ্চগড় জেলা শহরের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্র ও চার উপজেলার ৪টিসহ মোট ৫টি কেন্দ্রে মোট ৩৭০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। লোকজনের টিকা নেওয়ার আগ্রহের ওপর টিকাদান কেন্দ্র বাড়ানো হবে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১০৩৩ জন করোনার টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।

মুন্সীগঞ্জ
সকাল ১১টায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় । জেলায় প্রথম টিকা নেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. আক্তারুজ্জামান বাপ্পি। এদিন সদর উপজেলায় ১০০জনসহ অপর ৫টি উপজেলায় ১০০জন করে মোট ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
টিকাদান কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, সদর উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে মোট ৪৫২জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। তাদের মধ্যে আজ প্রথম দিন জেলা সদরসহ সব উপজেলায় ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি রাখা হয়।

চুয়াডাঙ্গা

সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন। প্রথমে জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানকে দেওয়া হয় কোভিড-১৯ এর টিকা। পরে টিকা নেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরোক চৌধুরী। আজ প্রথম দিন ৪২০ জনকে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এখানে দেওয়া হয় ভারত সরকারের উপহার করোনাভাইরাসের টিকা।

সুরক্ষা অ্যাপসে নিবন্ধন করা ব্যক্তিদেরই কেবল ওই টিকা দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১০ টি কেন্দ্রের মধ্যে সদর হাসপাতালে ৮টি কেন্দ্রে, বিজিবি হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে ১টি করে কেন্দ্রে এবং উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৩টি করে কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলবে। এসব কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের টিকাদান নিয়ে কাজ করবে স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০টি দল। টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া টিকাদানকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দলে ২ জন করে টিকাদানকর্মী ও ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। প্রথম দিন সদর উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে ৩৭০ জন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সের ৩টি কেন্দ্রে ২০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩টি কেন্দ্রে ২০ জন এবং জীবননগর উপজেলার ৩টি কেন্দ্রে ১৯ জনকে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল।

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার সকাল ১১ টায় ভ্যাকসিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা। তিনি প্রথম টিকাও গ্রহণ করেন। এরপর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন মোল্যা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমানসহ একের পর এক ১০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকা গ্রহণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া হোসেন ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন।

সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ১৯০ জনকে করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হবে।

উদ্বোধনী দিনে ১০ জন টিকা গ্রহণকারী জানান, তারা কোনও ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করছেন না। আগের মতোই সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।

সালথা (ফরিদপুর)

নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে ফরিদপুরের সালথায় করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম ইফতেখার আজাদ। রবিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় স্থাপিত ভ্যাকসিন বুথে তিনি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এরপর ভ্যাকসিন নেন স্থানীয় সাংবাদিক মনির মোল্যা। এখানে প্রথম পর্যায় ২ হাজার ৬শ’ ২৫ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম ইফতেখার আজাদ ও সাংবাদিক মনির মোল্যা বলেন, আমরা দুই জন সাড়ে ১১টার দিকে ভ্যাকসিন নিয়েছি। আমাদের দুই জনকেই ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। শরীর ঠিকই আছে। কোন ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এর আগে আমরা অনেক টিকা নিয়েছি। করোনা ভ্যাকসিন ওই সব টিকার মতোই মনে হচ্ছে। তাই এই ভ্যাকসিনকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, সালথা থানার ওসি সুব্রত গোলদার, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু প্রমুখ।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদকে টিকা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

রবিবার সকালে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন নেছার আহমদ এমপি।

এমপি নেছার আহমদের শরীরে টিকা প্রয়োগের পরপর টিকা নেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথী দত্ত কানুনগো, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ সালাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোহিত টুটু, সিনিয়র স্টাফ নার্স কৃষ্ণা রাণী দত্তসহ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিরা। এরপর ধারাবাহিকভাবে রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে টিকাদান করা হবে।

টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট যুব ইউনিটের ২২ জন এবং ম্যাটসের ১০ জন সদস্য।

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ জানান, শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার ৫ হাজার ৭৫৪ জন অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে ৮১৬ জন উদ্বোধনী দিনের জন্য নিবন্ধিত ছিলেন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২৯৭ জন, রাজনগরে ৫০ জন, কুলাউড়ায় ৩৯ জন, বড়লেখা ১০০ জন, শ্রীমঙ্গলে ২০০ জন , জুড়ীতে ৩০ জন এবং কমলঞ্জে ১০০ জন  করোনার টিকা নেন।

এদিকে শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধক টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। এসময় বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, সিলেট বিভাগের সাবেক স্বাস্থ্য পরিচালক ড. হরিপদ রায়সহ প্রায় ২০০জন করোনা ভাইরাসের টিকা নেন।

শেরপুর

শেরপুরে সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা সদর হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। এসময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহমুদ, পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন শেরপুর বিএমএ’র সভাপতি ডা. এমএ বারেক তোতা ,সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাদিম হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সর্বপ্রথম টিকা গ্রহণ করেন শেরপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম। এরপর একে একে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, শেরপুর বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাদিম হাসান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন রহমান অমিসহ অন্যরা টিকা নেন।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, জেলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬শ জন টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে উদ্বোধনী দিনে ২শ জনকে টিকা দেওয়া হয়। জেলা সদর হাসপাতালের পাশাপাশি নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একযোগে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। জানানো হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই টিকা নিতে পারবেন না।  

নওগাঁ

নওগাঁয় সকাল সাড়ে ১০টায় সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের ৩য় তলায় প্রথমে জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আবু হানিফ টিকা গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে একে একে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নবির উদ্দিন ও জেলা বিএমএ -এর সভাপতি ডা. মো. হাবিবুর রহমানসহ অন্যরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ জানিয়েছেন, নওগাঁ জেলায় ৮৪ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা দিয়ে ৪২ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া যাবে। রবিবার জেলা সদরে ৫ টি বুথে মোট ১১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এছাড়াও নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ৩০ বুথে এসব ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, গত শনিবার পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার ব্যক্তি টিকা পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।

ঝিনাইদহ 

ঝিনাইদহে সকালে জেলার সদর হাসপাতালে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। পরে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা টিকা গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, আজ উদ্বোধনী দিনে ১০৪ জনকে টিকা দেওয়া হবে।

এর আগে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

কক্সবাজার 

সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। এরপর কক্সবাজারে সর্বপ্রথম করোনার টিকা গ্রহণ করেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে টিকা নেন-কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে টিকা নেন সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ। এরপর একে একে সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. রফিক উস সালেহীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা, ডা. খায়রুন্নেছা মুন্নী, ডা. ইফফাত সানিয়াসহ প্রায় অর্ধশত নাগরিক টিকা গ্রহণ করেন।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. রফিক উস সালেহীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া প্রমুখ।

এর আগে কক্সবাজার জেলা ইপিআই স্টোর থেকে নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় রেখে করোনার ভ্যাকসিনগুলো বিভিন্ন উপজেলা ও রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেলায় করোনার ভ্যাকসিন নিতে সরকার নির্ধারিত ক্যাটাগরিতে জেলায় প্রায় ৩৯ হাজার জনের তালিকা তৈরি করা হয়। এরমধ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন করেন ১ হাজার ব্যক্তি। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি দেশে করোনার টিকা বিতরণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলায় পৌঁছে ৮৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা।

ভোলা

ভোলায় করোনার ভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

পরে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে শরীরে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ভোলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার। এছাড়াও তার স্ত্রী মিনারা মজুমদারও তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

ভোলা সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার প্রমূখ।

ভোলা সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, ভোলা জেলায় আমরা প্রথম ধাপে ৬০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছি। এরমধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় দেওয়া হচ্ছে ১৫ হাজার ডোজ। এছাড়াও এক উপজেলায় ১২ হাজার, ৯ হাজার করে দেওয়া হবে দুই উপজেলায় ও ৬ হাজার করে দেওয়া হবে বাকি দুই উপজেলায়।

তিনি আরও জানান, আজ রবিবার থেকে ভোলার সাত উপজেলায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আজ ভোলা সদর হাসপাতালে ১০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

বাগেরহাট                                     

বাগেরহাটে প্রথম করোনা টিকা নিয়েছেন জেলার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। রবিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রথম করোনা টিকা নেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক। প্রথম টিকাটি সিনিয়র স্টাফ নার্স শামীম আরা খানম জেলা প্রশাসককে পুশ করেন।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে এরপর পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) যুগ্ম পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, সদর হাসপাতারের চিকিৎসক, নার্স, সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২০০ জন এই টিকা গ্রহণ করেছেন।

পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে একযোগে বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার ১১০টি বুথ থেকে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এসব বুথে অভিজ্ঞ টিকা প্রদানকারী ২২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৪৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।

দিনাজপুর

সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশের মতো দিনাজপুরেও করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।রবিবার সকাল ১১ টায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। পরে তিনি দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালেও টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সচীন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পরে নিবন্ধিতদের টিকা দেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ১৪টি টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। এগুলোতে জেলায় পর্যায়ক্রমে সকলকে টিকা দেওয়া হবে। এর আগে গত ৩১শে জানুয়ারি দিনাজপুরে ৯৬ হাজার ডোজ টিকা এসে পৌঁছায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশ করোনার টিকা পেয়েছে। করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৯টি দেশের জনগণ টিকা নিয়েছে, তাদের মধ্যে কোনও ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি। প্রথম ধাপে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি করোনার টিকা নিয়ে আমার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই।

কাহারোলে টিকা নিচ্ছেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল

তিনি বলেন, করোনার টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই বিষয়ে কোনও ধরনের আশঙ্কা নেই। এজন্য সকলকেই টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি প্রথম টিকা নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, এই টিকায় কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আমার কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। ৫৫ বছর অতিক্রম করা প্রতিটি মানুষেরই এই টিকা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। হুইপের পরে একে একে নিবন্ধিত ডাক্তার, নার্সসহ অনেকেই টিকা গ্রহণ করেন। টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধিত সাধারণ মানুষকেও অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাসিরুল হক রুস্তম কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, টিকা নেওয়ার পর কোনও সমস্যা হয়নি। যারা অপবাদ ছড়াচ্ছে তাদের মুখে আজকে ছাই পড়েছে।

এছাড়া দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. পারভেজ সোহেল রানা, বিরলে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বোচাগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা রানী পাল, কাহারোলে দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বীরগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, খানসামায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম। এছাড়াও চিরিরবন্দরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা, পার্বতীপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লা-হেল মাফী, ফুলবাড়ী উপজেলা বিজিবির নায়েক সুবেদার উত্তম কুমার, হাকিমপুরে পানামা পোর্ট লিংক-এর গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন মেহেদী, ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহজাহান আলী নিজ নিজ উপজেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেন।

/আইএ/টিএন/
সম্পর্কিত
উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অপহরণের শিকার সেই প্রার্থী
অবশেষে প্রার্থিতাই প্রত্যাহার করে নিলেন প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!