কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে কাজ চলছে। দেশের আবহাওয়া ভুট্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কাজেই কয়েক বছরের মধ্যেই ভুট্টার উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসির) প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মুরগির মাংস নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর— এই বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ফার্মের মুরগিতে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।’
তিনি বলেন, ‘ভুট্টার উৎপাদন আরও বাড়াতে কাজ চলছে। দেশের আবহাওয়া ভুট্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতেও এখন ভুট্টার ভালো ফলন হচ্ছে। কাজেই কয়েক বছরের মধ্যেই ভুট্টার উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যাবে।’
বৈঠকে দেশের পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে কৃষিমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন— বিপিআইসিসির সভাপতি মসিউর রহমান, সহ-সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান এবং ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান।
সাক্ষাৎকালে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। বিপিআইসিসির নেতারা করোনার কারণে পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা তুলে ধরেন। দেশে ভুট্টার উৎপাদন আরও বাড়াতে কৃষিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেনম তারা। তারা বলেন, পোল্ট্রি ফিডের প্রায় সবটাই আসে ভুট্টা থেকে। সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে পারলে ফিডের খরচ অনেক হ্রাস পেতো।
এ ছাড়া ফার্মের মুরগির মাংস নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর এই বার্তাটি কীভাবে ভোক্তার কাছে আরও জোরালভাবে পৌঁছানো যায়, সে ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। নেতারা পোল্ট্রি শিল্পে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ রিবেট পুনরায় চালুর অনুরোধ করেন।