উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ইউজিসিতে আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ও এপিএএমএস (সফটওয়্যার) বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে (ডিসি) উত্তরণে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।’
অধ্যাপক ড. তাহের বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে কী কী করণীয়, তার আলোকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে হবে। পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও লক্ষ্য পূরণে সংশ্লিষ্টদরকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক কর্মকাণ্ড ও দক্ষতা আগামীতে দেশকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও উন্নত দেশে রূপান্তরে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত সকলকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সফল বাস্তবায়নকারীদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ড. তাহের।
সভায় সমাপনী বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। এজন্য প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। ইউজিসি গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত ও মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরিতে কাজ করছে।’
স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। সভায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও এপিএএমএস বিষয়ে প্রশিক্ষণে সেশন পরিচালনা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমান।
ইউজিসি এপিএ’র সদস্য সচিব গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাল পয়েন্টরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য,সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার এপিএ প্রবর্তন করেছে।