লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বুধবার বিভাগীয় নগরী রংপুরের প্রধান সড়কগুলোতে সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হলেও আশেপাশের গলি ও সড়কে দেদারসে রিকশা, ইজিবাইক, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করেছে কোনোরকম বাধা ছাড়াই। এর ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লকডাউন বাস্তবায়নে নেমে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা যায়।
বিভাগীয় নগরীতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় থেকে শুরু করে ডিসির মোড় এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যান চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী । এসব সড়কে মোটরসাইকেল, রিকশা ও ইজিবাইকসহ কোনও যান চলাচল করতে দেখলেই সন্তোষজনক কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে সেসব গাড়ি আটক করে পুলিশ।
তবে এর উল্টো চিত্র প্রধান সড়কের পাশের সড়কগুলোতে দেখা গেছে। সেখানে নবাবগঞ্জ বাজার বেতপট্টি মার্কেটসহ আশেপাশের দোকানগুলোর একটা করে শাটার খোলা রেখে দিব্যি দোকানদারি করতে দেখা গেছে। ওই সব সড়কে ফ্রি স্টাইলে চলাচল করেছে মোটরসাইকেল, রিকশা, ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন। দুপুর ১২টার এসব এলাকায় রীতিমতো যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। ওই এলাকাগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মুখে মাস্ক পড়তে কাউকেই দেখা যায়নি।
এসময় নগরীর জীবন বীমা করপোরেশনের কাছে প্রধান সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালনরত মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার ফরহাদ হোসেনকে রীতিমত অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, সকাল থেকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু মানুষ কথা শুনছে না। রিকশা বা মোটরসাইকেল আটকালে বাজার করা আর হাসপাতাল যাওয়ার অজুহাত দেখাচ্ছে তারা। তিনি বলেন, সকলকে সচেতন হতে হবে। এভাবে সবাই ফাঁকি দিয়ে ঘোরাঘুরি করলে আমরা চেষ্টা করেও লকডাউন সফল করতে পারবো না।
এছাড়া প্রথমদিনের মতো নগরীর শপিং মলসহ সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কে আন্তঃ জেলা ও দূরপাল্লার কোনও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না।