বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারানো ওই রেমিট্যান্স যোদ্ধার নাম মো. সুজন (৩০)। তার বাড়ি শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ ডুবলদিয়া কাজী কান্দী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মজিবর মাদবরের বড় ছেলে।
শনিবার (১৫ মে) বিকাল ৩টার দিকে বাহরাইনের জাল্লাক বিচ থেকে ঈদে ঘোরাঘুরি শেষে রাজধানী মানামায় ফিরছিলেন সুজন ও তার বন্ধুরা। ফেরার পথে জাল্লাক মহাসড়কের বাহরাইন ইউনিভার্সিটির কাছে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান তিনি।
নিহত সুজনের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। এ বছর কোরবানি ঈদে দেশে এসে তার বিয়ে করার কথা ছিল।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সুজনের বাবা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তারা দুই ভাই, তিন বোন। ভাই-বোনের মধ্যে সুজন বড়। সংসারের দায়িত্বভার তার কাঁধেই ছিল। সংসারের সুদিন ফিরিয়ে আনতে ২০০৭ সালে বাহরাইনে পাড়ি জমান তিনি। সুজন বাহারাইনের মানামা শহরে থাকতেন।
এদিকে মৃত্যুর সংবাদে সুজনের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর মা রিনা বেগম বারবার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন। আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসেছেন তাদের সমবেদনা জানাতে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
নিহতের ভাই সবুজ মাদবর বলেন, আমাদের সংসারে উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। সরকারের কাছে আমাদের একটাই চাওয়া, আমার ভাইয়ের লাশটি যেন দ্রুত বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
জাজিরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জান ভূঁইয়া জানান, নিহতের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। লাশ আনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করবে উপজেলা প্রশাসন।