ভারতের উত্তরাখণ্ডে মাত্র দশ দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক হাজার শিশু। এসব শিশুদের বয়স ৯ বছরের কম। দেশটির স্বাস্থ্য দফতর এই তথ্য জানিয়েছে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই'র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।খবরে বলা হয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের অনেককেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
রাজ্যটির স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ২ হাজার ১৩১ জন শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। ১ থেকে ১৫ এপ্রিল আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ছিল ২৬৪। কিন্তু ১৬ থেকে ৩০ এপ্রিল এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৩ এবং ১ থেকে ১৪ মে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬১৮ জনে।
স্থানীয় সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফর কমিউনিটিজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অনুপ নৌটিয়াল জানান, রাজ্যটিতে প্রতি লাখে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৭১ জন। যা উত্তরপ্রদেশের তুলনায় সাতগুণ বেশি।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুসারে, উত্তরাখণ্ডে ৭৯ হাজার ৩৭৯ জন অ্যাকটিভ করোনা রোগী রয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪২৬জনের।
এদিকে, বেঙ্গালুরু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রবি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে তা শিশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। ডা. রবির সেই আশঙ্কাকেই সায় দিয়েছেন ডা. দেবী শেঠি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কোভিড আক্রান্ত অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য মহারাষ্ট্র একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। মহামারি বিশেষজ্ঞ না হলেও সাধারণ বিবেচনায় বলছি, তারা ঠিকই করেছে।
ডা. দেবী শেঠি বলেন, করোনা ধরন বদলে আরও বেশি করে সংক্রমণ ছড়িয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। প্রথম ঢেউয়ে এটি মূলত প্রবীণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের টার্গেট করেছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বিস্তৃত হয়েছে। আর তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ অধিকাংশ বয়স্কদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ১২ বছরের কম বয়সি শিশুরা এক্ষেত্রে বেশি আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত অভিভাবকদের থেকেই তাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।