সৃষ্টি
সৃষ্টি না মানিলে ধর্ম
ভবে আমি যাইতাম কই
আসল ধর্ম না মানিয়া আমি
ভাব সাগরে ডুবে রই
পরধর্ম পালন করিয়া
মানবধর্ম যায় হারাইয়া
স্ববেদন জাগানের ধর্ম
আমি পাব কই
সৃষ্টির দিকে তাকাই যখন
ধর্মের খেলা দেখি তখন
সবেধন জাগানোর জন্য
তারই ধ্যানে রই
ধর্ম-কর্ম সবই আমার
নাই কোনো পাপ-পুণ্যের কারবার
সৈয়দ মিনার ভাবে সব একাকার
স্রষ্টা তোমায় পাব কই
মানব সংসার
নিজেই হলেন পথভ্রষ্ট
ভাবেন তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ
কানার হাটে আয়না বেচে
জমাইছে বড়ই কারবার
গোলেমালে চলতে আছে
আজব এ মানব সংসার
ভুলে ভালে চলতে আছে
আজব এ মানব সংসার
বধিররে শুনাইলে কথা
বাড়বে শুধু মনের ব্যথা
কানার হাটে আয়না বেচা
থামানো এবার দরকার
ভেতর থেকে হলে রূপান্তর
ভ্রান্তিহীন হবে তোরই অন্তর
ভেদ বিচারে সৈয়দ মিনার
করি ভুলের সমাচার
চিত্তের চেতন
চিত্তের চেতন চিনিতে
আসিলাম ভবে
ভব সদাই ভবঘুরে
নিথর দেখায় দুই নয়ন
চিত্তের চেতন চিনিতে
করো চিত্তের সাধন
বহিঃচিত্তে হলে বিশ্বাসী
জ্ঞানের গলায় পরবে রশি
অন্তঃচিত্তই অতি আপন
ধোঁকায় সে পড়ে না কখন
পঞ্চমূর্খ চিত্তের দোসর
অন্তঃচিত্তে পাঠায় খবর
যেজন জানে সুসম্পাদন
মর্তে মিলে তার অভিবাদন
ভ্রম ভাবনায় ভ্রান্ত এমন
জ্ঞানচিত্তেই করো সাধন
সৈয়দ মিনারের অন্তঃকরণ
শূন্য থেকেই শূন্যে গমন