মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়া এবং প্রতিমাসে স্থানীয় দুই জন মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য দেওয়ার কাজ না করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কলাপাড়ার বাসিন্দা রুনা বেগম (৪০)। সোমবার (২৪ মে) দুপুরে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘আমি অসহায় একজন নারী, আমার বিরুদ্ধে কলাপড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসাররা অন্যায়ভাবে ছয়টি মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। ছেলে সন্তান নিয়ে বর্তমানে না খায়ে দিন কাটাইতেছি। এর সুষ্ঠু বিচার এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
লিখিত বক্তব্যে রুনা বেগম বলেন, ‘২০১৮ সালে স্বামী আমির হোসেনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন চাকরি রক্ষার স্বার্থে আসামি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখান। এমনকি মো. রুহুল আমিন এক লাখ টাকা নিয়ে মাদক ব্যবসা করারও প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি প্রতি মাসে দুটি করে আসামি ধরিয়ে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী আমির হোসেন এবং আমার নাবালক সন্তান রায়হানের নামে ছয়টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ২২ মে শনিবার সকালে টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামের বাসিন্দা রুনার বসতঘরে বিভাগীয় স্টাফ উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন, সিপাহী মো. জহিরুল ইসলাম, সঞ্জয় সাহা, মো. আবুল হাসানসহ কলাপাড়ার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা কমর্চারী মিলে একজোট হয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার স্বামীকে আটক করেন। আমি প্রতিবাদ করেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিতে থাকেন। আমি ও আমার ছেলে উদ্ধার করতে গেলে আমাকে ও আমার ছেলেকেও কিল, ঘুষি, লাথি মারা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মারধরের এক পর্যায় রুহুল আমিন ও সঞ্জয় সাহা আমার ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের ট্রাংকের মধ্যে থাকা পার্স ব্যাগ থেকে নগদ ১৩ হাজার টাকা এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের চেক ও জমা বই নিয়ে যান। এভাবে দিনের পর দিন আমাকে হয়রানি করছে কলাপাড়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, রুনা বেগমের আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।