হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকসহ অর্ধশত নেতাকর্মীর অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দুদকের চিঠির সূত্র ধরে এসব নেতাকর্মীর ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত জানতে চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। এছাড়া হেফাজতের নেতাকর্মীদের ভু-সম্পত্তি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহের জন্য দুদক থেকে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ জুন) দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এসব তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য হাতে পেলে যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধান দল পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে। অনুসন্ধানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাদের প্রয়োজন মনে করবেন, তাদেরই কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’
এর আগে ৫ এপ্রিল ও ৮ জুন দুই দফায় হেফাজতের শীর্ষ প্রায় একশ’ নেতা ও ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের চাহিদার ভিত্তিতে ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে ব্যাংক হিসাব সংগ্রহ করে যাদের অবৈধ সম্পদ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা বা আরও অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের তালিকা করে তাদের সম্পদের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক। প্রাথমিক তদন্ত শেষে যাদের আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ ও পরবর্তীতে মামলা দায়ের করা হবে।