বিতর্কিত মন্তব্যে তার জুড়ি মেলাভার। কখনও গরুর দুধে সোনা খুঁজে পান তিনি, কখনও পাল্টা মার দেওয়ার কথা বলেন, আবার কখনও চর্বি কমে গেলে দলের স্বাস্থ্য ভালো হবে বলেও জ্ঞান দিতে দেখা যায় তাকে। তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তিনি করোনাভাইরাসের জেরে রাজ্য সরকারের ঘোষিত বিধিনিষেধ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
করোনা ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গে আপাতত বন্ধ থাকছে বাস, লোকাল ট্রেন ও মেট্রো। শুধু স্টাফদের বহনকারী স্পেশাল ট্রেন চলবে। তবে ট্রেন, বাস, মেট্রো বন্ধ থাকলেও ৩০ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধে একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালু হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা যাবে বেসরকারি সংস্থা। তবে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল, বার, রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে।
এই বার খোলা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়েই বিতর্কের জন্ম দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘স্কুল খোলা থাকলে রাজ্য সরকারের খরচ হয়। আর বার খোলা থাকলে সরকারের লাভ হয়। তাই স্কুল বন্ধ করে নির্দিষ্ট সময়ে বার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
আবগারি দফতর থেকে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয় ঠিকই। কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তার ওপর ভারতে এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সেখানে বিজেপির একজন প্রভাবশালী নেতার এমন মন্তব্য অনেককেই বিস্মিত করেছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।