যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। ইতোমধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট পূর্ণ হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে ৯১ জন ভর্তি রয়েছেন। আইসোলেশন ওয়ার্ডের চিত্রও একই। সবমিলে এখন হাসপাতালে করোনা রোগী রাখার জায়গা নেই।
শনাক্তের এ ঊর্ধ্বগতি রুখতে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে রোগীর চাপ সামাল দিতে নতুন ওয়ার্ড খোলার পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, মে মাসের শুরু থেকেই যশোরে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮৮ নমুনা পরীক্ষা করে ২০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। মারা গেছেন চারজন। এর মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে একজন, আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজন ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে দুজন মারা গেছেন।
বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩১ জন। এর মধ্যে ৮০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ৯১ জন ও ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪০ জন রয়েছেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শনাক্তের ঊর্ধ্বগতি রুখতে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে জেলা প্রশাসন।
অপরদিকে, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি করতে নতুন করে ২৪ শয্যার আরেকটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই সঙ্গে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়েও চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।