মেমফিস ডিপাইকে আগামী মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সি পরে মাঠে দেখা যাবে। ন্যু ক্যাম্পে যে মাঠে দাপিয়ে বেড়াবেন এই ফরোয়ার্ড তা অনেকটাই পরিষ্কার। এখন সেই বার্তাই বুঝি দিচ্ছেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে। ইউরোতে নেদারল্যান্ডস ৩-০ গোলে উত্তর মেসিডোনিয়াকে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলের টানা তৃতীয় জয়ে উইনাল্ডম জোড়া গোল করেছেন। আর ডিপাই একটি। এ ছাড়া এসিস্টও আছে এই ২৭ বছর বয়সী তারকার।
একই গ্রুপে অন্য ম্যাচে অস্ট্রিয়া ১-০ গোলে ইউক্রেনকে হারিয়েছে। তিন ম্যাচে ডাচরা ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে জায়গা করে নিয়েছে। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রিয়া গ্রুপ রানার্সআপ। আর ইউক্রেন তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। মেসিডোনিয়া কোনও পয়েন্ট না পেয়েই ইউরো থেকে বিদায় নিয়েছে।
ইয়োহান ক্রইফ এরিনাতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে সমান তালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে। কিছু সুযোগও পেয়েছে কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। বরং নেদারল্যান্ডস শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রেখেছে। ডিপাই-মালেন-উইনাল্ডমরা মিলে মেসিডোনিয়ার রক্ষণ তছনছ করে দিয়েছে।
ম্যাচের ১০ মিনিটে মেসিডোনিয়ার একটি প্রচেষ্টা জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।
২১ মিনিটে মেসিডোনিয়ার দুর্ভাগ্য। ট্রায়কোভস্কির জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়া হয়নি।
২৪ মিনিটে চমৎকার প্রতি আক্রমণ থেকে নেদারল্যান্ডস এগিয়ে যায়। মালেনের পাসে ডিপাই প্লেসিং করে দলকে এগিয়ে নেন।
৩০ মিনিটে মালেনের পাসে দামফ্রিসের শট গোলকিপার এগিয়ে এসে প্রতিহত করলে ব্যবধান বাড়ানো যায়নি।
বিরতির পর অবশ্য ব্যবধান বাড়াতে সময় লাগেনি। ৫১ মিনিটে ডিপাইয়ের কাটব্যাক থেকে উইনাল্ডাম পোস্টে বল ঠেলে দেন।
৫৮ মিনিটে নেদারল্যান্ডস তৃতীয় ও শেষ গোলের দেখা পায়। ডিপাইয়ের শট গোলকিপার ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে উইনাল্ডাম প্লেসিং করে দেন।
৬৭ মিনিটে তাদের আরও একটি প্রচেষ্টা ক্রস বারে লেগে ফিরে আসলে স্কোরলাইন ৪-০ হয়নি।
যদিও এই অর্ধে মেসিডোনিয়া সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি। বল আরও একবার জালে জড়ালেও অফসাইডের বাঁশি বেজে ওঠে। ইউরোতে খেলতে এসে শূন্য হাতেই যেতে হলো তাদের।