ম্যাচের আগের দিন তামিম ইকবাল বলেছিলেন, প্রথম ঘণ্টা হারারের উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন। কন্ডিশনের কারণে বল লাফিয়ে ওঠে, তাই ধীরস্থির ভাবে খেলতে হবে দলকে। কিন্তু তিনি নিজেই ব্লেসিং মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা বল কাট করতে গিয়ে শূন্য রানে আউট হলেন। আর তাতেই অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের মালিক বনে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি শূন্য রানে শুরু বাংলাদেশ অধিনায়ক। মুজারাবানির প্রথম ওভারে কোনও রান নিতে পারেননি তামিম। ওই ওভারে জিম্বাবুইয়েন পেসারের বেশ কিছু বলে বিভ্রান্ত হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু মুজারাবানির তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে শেষরক্ষা হয়নি। তার লাফিয়ে ওঠা একটি বল কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপার রেগিস চাকাবার গ্লাভসবন্দি হন এই ওপেনার।
তামিম এখন বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ‘ডাক’ মারা ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে তামিমের ‘ডাক’ ১৯টি। তার সর্বশেষ শূন্য রানের ইনিংস ছিল ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেবার হাবিবুল বাশারের সঙ্গে ১৮ ‘ডাক’-এর রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে হাবিবুলকে ছাড়িয়ে অনাঙ্ক্ষিত রেকর্ড এককভাবে নিজের করে নিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তৃতীয় স্থানে থাকা মাশরাফি শূন্য রানে আউট হয়েছেন ১৫বার। এছাড়া মোহাম্মদ রফিকের ১৫ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ‘ডাক’ সংখ্যা ১৩টি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি তামিমের তৃতীয় ‘ডাক। তিনবার রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও। এছাড়া দুইবার করে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।।
শুধু ওয়ানডে ক্রিকেটেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এই রেকর্ডের ভাগীদার তামিম। সব মিলিয়ে তার ‘ডাক’ সংখ্যা ৩৪টি। এছাড়া ৩১বার শূন্য রানে ফিরেছেন আশরাফুলের। মুশফিকুর রহিম ২৬বার ও হাবিবুল বাশার ২৫বার আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগে।
এদিকে ওয়ানডে ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ‘ডাক’ মারার রেকর্ড সনাথ জয়াসুরিয়ার, ২৯টি। তামিম ১৯ ‘ডাক’-এ আছেন তিন নম্বরে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪ ‘ডাক’ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এই রেকর্ডের তিন নম্বরে আছেন তামিম। সবচেয়ে বেশি জয়সুরিয়ার, ৪৫বার।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি শূন্য:
তামিম ইকবাল- ১৯
হাবিবুল বাশার- ১৮
মাশরাফি মুর্তজা- ১৫
মোহাম্মদ রফিক- ১৫
মোহাম্মদ আশরাফুল- ১৩