ফ্লিক শট খেলতে চাইলেও লাগাতে পারেননি ব্রেন্ডন টেলর, এরপর ব্যাট ঝাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেন। দুই ফিল্ড আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন। অতঃপর থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুর্ভাগ্যজনক হিট আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে হয় টেলরকে! যদিও উইজডেন বলছে, জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক কোনওভাবেই আউট ছিলেন না।
বিতর্কিত আউটের ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। উইজডেন ইন্ডিয়ার প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আউট হওয়ার সময় প্রাথমিকভাবে ব্যাটসম্যানের ভুল মনে হবে। তবে ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী এটি কখনোই আউট নয়। তৃতীয় আম্পায়ার তাকে আউট করার পর টেলর প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন। তবে আইনগুলি পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে তিনি আসলেই দুর্ভাগা ছিলেন!
এমসিসিরি ধারা ৩৫.১.১.১ অনুযায়ী, ব্যাটসম্যানরা হিট আউট হবেন, যদি ‘ব্যাটসম্যান খেলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বা খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে’ নিজের ব্যাট বা শরীরের কোনো অংশ দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন।
ধারা ৩৫.২ অনুযায়ী, ব্যাটসম্যান হিটউইকেট আউট হবেন না, ‘ডেলিভারিটি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর স্ট্রাইকার (ব্যাটসম্যান) কিছু করতে গিয়ে’ যদি উইকেট ভেঙে যায়। যদি না স্ট্রাইকার রান নেওয়ার চেষ্টা করেন অথবা ইচ্ছেকৃতভাবে উইকেট রক্ষা করার জন্য দ্বিতীয়বার ব্যাট ব্যবহার করেন।
টেলরের বেলায় আসলে কী ঘটেছে, সেটির অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। কেননা এখানে দুটি ঘটনা এক সঙ্গে ঘটেছে। বলটি ব্যাট পেরিয়ে গেলেও টেলর ডেলিভারিটি খেলতে চেষ্টা করার ফলো-থ্রুতেই ব্যাটটি স্টাম্পে লেগেছে। অন্যদিকে ডেডবল আইনে বলা হয়েছে, উইকেটকিপার বা বোলারের কাছে বল চূড়ান্তভাবে পৌঁছে গেলে তা ডেড হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে তাই টেলরের আউট নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েই গেছে!