দিনাজপুরের হিলিতে লকডাউনের কারণে পাইকার না আসায় এবং মোকামগুলোতে চামড়ার হাট ঠিকমতো না বসায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। হাজার হাজার চামড়া কিনে তারা বাইরে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রেখেছেন। কিন্তু এগুলো সময়মতো বিক্রি করা নিয়ে শঙ্কায় তারা।
হিলির মুন্সিপট্টির চামড়া ব্যবসায়ী আমজাদ মুন্সি ও রকি মুন্সি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা প্রায় সাত হাজার গরুর চামড়া কিনে প্রক্রিয়াজাত করে মজুত করে রেখেছি। গত বছরের চেয়ে লবণের দাম বেশি। এছাড়া শ্রমিকের মজুরিও বেশি হওয়ায় এবার বাড়তি দামে চামড়া কিনে তা সংরক্ষণ করতে বেশি খরচ পড়েছে। সাত হাজার চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতেই আমাদের দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু ১৪ দিনের লকডাউনের কারণে এখন পর্যন্ত কোনও পাইকার না আসায় চামড়াগুলো বিক্রি করতে পারছি না।’
তারা আরও বলেন, ‘সবাই বলছে, লকডাউন যাক তারপর চামড়া কিনবো। এতে আমরা চামড়া বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি। আর ট্যানারি মালিক যারা রয়েছেন, তারা এখন পর্যন্ত চামড়া কিনতে বের হননি। আমাদের এই অঞ্চলে পলাশবাড়ি ও নাটোরে দুটি চামড়ার হাট হয়। কিন্তু এখনও হাটের অবস্থা খুব ভালো না। কোনও খরিদদার হাটে আসেনি। চামড়াগুলো বিক্রি করতে দেরি হলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।’
এই ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘জায়গা না থাকায় আমাদের চামড়াগুলো খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে। একে তো বৈরি আবহাওয়া, তার ওপর যদি বৃষ্টিপাত হলে চামড়া নষ্ট হয়ে আমাদের অনেক লোকসান গুনতে হবে।’