X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

অবরুদ্ধ আফগান শহর থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ

বিদেশ ডেস্ক
০৩ আগস্ট ২০২১, ২০:৩১আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২১, ২০:৫০
image

তালেবানের বিরুদ্ধে চালানো হবে সেনা অভিযান। আর এর আগেই অবরুদ্ধ আফগান শহর লস্করগাহ থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেওয়া জেনারেল সামি সাদাত বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে আগের দিন ৪০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

লস্করগাহ শহরের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। তবে শহর ঘিরে এখনও তীব্র লড়াই চলছে। শহরটি তালেবানের হাতে পড়তে দেওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকারি বাহিনী। বাসিন্দাদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় জেনারেল সামি সাদাত বলেছেন, ‘একটা তালেবানকেও জীবিত ছাড়বে না’ সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, জানি নিজেদের বাড়ি ছেড়ে যাওয়া কঠিন- আমাদের জন্যও কঠিন। কিন্তু আপনারা কয়েক দিনের জন্য বাস্তুহারা হয়ে পড়লে আমাদের ক্ষমা করবেন।’

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক অভিযানের কেন্দ্রে থেকেছে হেলমান্দ প্রদেশ। এটি তালেবানের দখলে গেলে তা হবে আফগান সরকারের জন্য বড় বিপর্যয়। লস্করগাহের পতন ঘটলে ২০১৬ সালের পর এটি হবে তালেবানদের প্রথম কোনও প্রাদেশিক রাজধানী দখল। বর্তমানে তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিতে লড়াই চালাচ্ছে তালেবান।

লস্করগাহের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা ভয়ের মধ্যে বসবাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বাহিনীর বোমা বর্ষণে আক্রান্ত তালেবান সদস্যরা রাজপথে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এক বাসিন্দা বলেন, ‘তালেবানও আমাদের ছাড়ছে না আবার সরকারও বোমাবর্ষণ বন্ধ করছে না। রাস্তায় মরদেহ পড়ে রয়েছে। জানি না তারা বেসামরিক মানুষ নাকি তালেবান।’ আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘জানি না কোথায় যাবো, শহরের প্রত্যেক কোনায় যুদ্ধ চলছে।’

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ২০ বছরের সামরিক অভিযানের পর মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সম্প্রতি দেশটিতে দ্রুত তালেবানের উত্থান ঘটছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অগ্রযাত্রা ঠেকাতে যুদ্ধের মাঠে মোতায়েন করা হচ্ছে হাজার হাজার আফগান সেনা।

/জেজে/এমওএফ/
সম্পর্কিত
তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কোন্নয়নকে স্বাগত জানাল চীন
আফগান সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ৩০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
আইএস নেটওয়ার্ক ভেঙে দিলো মালয়েশিয়া, জড়িত বাংলাদেশি শ্রমিকরা
সর্বশেষ খবর
সিরিয়ার সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলো ব্রিটেন
সিরিয়ার সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলো ব্রিটেন
সাঁতারে ৫ ইভেন্টেই ঢাবি সেরা শেখ জামিল
সাঁতারে ৫ ইভেন্টেই ঢাবি সেরা শেখ জামিল
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
জয়ের পর মনিকা চাকমা বললেন, ‘আজ অনেক ভালো লাগছে’
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
ঢাকায় উদযাপিত হলো উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রা
সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন