মাছ ও রন্ধনশালা
হাত বদল হতে দেখে
হাতও নিজেকে অচেনা চোখে দেখছে
নিশ্চয়ই হাতেই আছে দুহাত
নইলে সমুদ্র ভেঙে
কে ফেলে জাল
আর সামলায় দড়িদড়া
কাফনের চেয়েও জ্যান্ত মাছ
বাজার থেকে ফিরে আসে
গোধূলির বিষণ্ণতা নিয়ে
রাতে, কড়াইয়ে উপুর করে
যদি দাও তারাদের মসলাপাতি
চেয়ার
চেয়ার ছিল বাড়িয়ে দু’হাত
কেবল শূন্যতার অযুহাতে
কখনও বৃষ্টির ছাট, বা
আরও আলোর সঙ্গে মিলেমিশে
লেগেছে কত রোদ
এখন কেউ বসবে না, বসেও না,
কেবল তোমার নিরীহ শীত
একবারই সে ভেবেছে
নিজের হাড়ে বোনা অপেক্ষায়
সে বসুক তার লোহার শরীরে
ফার্ন-শ্যাওলার জঙ্গল হতে দিয়ে