X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

টবে গাজর চাষ

দিলরুবা আফরোজ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৫৯আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৫৯

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সবজিটি খুব সহজেই বারান্দায় বা ছাদে টবে চাষ করা যায়। টবে গাজর চাষ তুলনামূলক সহজ।

 

টব বাছাই

বড় আকারের টব হলে ভালো হয়। এতে একসঙ্গে অনেকগুলো বীজ বপন করা যায়। যেহেতু গাজরের বীজ আকারে ছোট হয় তাই একসঙ্গে অনেকগুলো বপন করতে হয়। পরে চারা বেড়ে ওঠার পর সুস্থ চারা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেওয়া যায়। টবের গভীরতা হতে হবে কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি। তলা পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে।

 

মাটি তৈরি

প্রায় সব ধরনের মাটিতেই গাজর চাষ করা যায়। তবে বেলে দো-আঁশ মাটি বেশি উপযোগী। আজকাল অবশ্য কোকোপিট ও জৈব সারের মিশ্রণও পাওয়া যায়। ওই মাটিও গাজরের জন্য ভালো। তবে যে মাটিই হোক তা আগে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।

 

বপনের সময়

সাধারণত আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজরের বীজ বপন করা যায়। অঙ্কুরোদগমে সময় লাগে ৭-১০ দিন।

 

বীজ বপন পদ্ধতি

টবের মাটি তৈরি হয়ে গেলে তাতে বীজ বপন করতে হবে। গাজরের বীজ আকারে ছোট হয় তাই এর সাথে ছাই বা মাটির গুড়া মিশিয়ে বপন করতে হয়। বীজ বপন করার আগে তা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে পানিতে ভিজালে বিকালের দিকে বপন করা যাবে।

 

সার প্রয়োগ

গাজর চাষে যত বেশি পরিমাণ জৈব সার দেওয়া যায় ততই ভালো। গোবর সার, কম্পোস্ট সার, কেঁচো সার, তরকারির খোসা এসব দিলে ফলন ভালো হয়। এ ছাড়া অজৈব সার হিসেবে টিএসপি ও এমওপি ও ব্যবহার করা যাবে। প্রয়োজনে সামান্য ইউরিয়া দেয়া যেতে পারে। তবে নাইট্রোজেন জাতীয় সার বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর এক বার করে চা পাতা শুকিয়ে টবের গোড়া ব্যবহার করা যায়। এটিও গাছের জন্য খুব উপকারী।

 

পরিচর্যা

গাজর চাষে নিয়মিত পানি দিতে হয়। প্রতিদিন অন্তত কয়েক ঘণ্টা রোদ পায় এমন জায়গায় রাখতে হবে। এ ছাড়া বীজ থেকে যখন চারা গজালে অবশ্যই চারার ঘনত্ব কমাতে হবে ও নিড়ানি দিতে হবে। আগাছা থাকলে তুলে ফেলতে হবে।

 

গাজরের রোগবালাই

গাজর গাছে জাব পোকা আক্রমণ করে বেশি। এ পোকা গাছের পাতা ও কচি অংশের রস চুষে খায়। এটি দমনে ইমিটাক্লোপিড বা সাইপারমেট্রিন জাতীয় ওষুধ পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

এ ছাড়া গাজর গাছে হলুদ ভাইরাস নামক এক ধরনের রোগ দেখা দেয়। লিফ হফার পোকার মাধ্যমে এই রোগ হয়। এতে গাছের কচি পাতাগুলো হলুদ হয়ে কুঁকড়ে যায়। ডগাও বিবর্ণ হয়ে যায়। এই রোগ হলে আক্রান্ত পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে।

গাজরের কালো মূল পচা রোগও হয়। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় এটা। নাইট্রোজেন জাতীয় সার বেশি প্রয়োগ করা হলে এটি দেখা দেয়।

 

ফসল সংগ্রহ

বীজ বপনের তিন মাসের মধ্যেই গাজর তুলতে পারবেন। তবে পরিপক্ক গাজর পেতে আরো ১৫-২০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এর বেশি সময় রাখা যাবে না।

/এফএ/
সম্পর্কিত
কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
বাড়তি ফসল মিষ্টিকুমড়ায় কৃষকের মুখে হাসি
হিলিতে প্রথমবার কিনোয়া ও চিয়া সিড চাষ, নতুন সম্ভাবনা
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা