বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ ও কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হিসেবে প্রস্তুত করতে না পারলে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের প্রস্তুত করতে হবে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘আগামীর বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় এই অভিমত উঠে আসে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জবাবদিহিমূলক অ্যাকাডেমিক ভিজিটের মাধ্যমে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম আই খান বলেন, ‘নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০’ বাস্তবায়নের জন্য সকল পক্ষের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অ্যাকাডেমিক পরদর্শন, ফেস অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন, এলাকাভিত্তিক প্রান্তিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষকদের দক্ষ হিসেবে প্রস্তুত করা না গেলে এবং অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. তারিক আহসান বলেন, ‘যুগের প্রয়োজনে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ শিক্ষক ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণের বিষয়ে প্রতিবেদনে জোরোলো সুপারিশ করা হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের যথাযথ মৌলিক জ্ঞানের পাশাপাশি উদ্ভাবনী ও বাস্তবসম্মত জ্ঞান অর্জনের পথ তৈরি করা হয়েছে এই শিক্ষাক্রমে। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলামও আধুনিকায়ন করা হবে। পাঠ্যবই তৈরি হবে সেভাবেই।’
সেশনের শুরুতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০ এর সার সংক্ষেপ উপস্থাপন ধরেন।