বাগেরহাটের ৯ উপজেলার ৬৫ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সহিংসতার আশঙ্কায় এসব ইউনিয়নের ৫৯৯টি কেন্দ্রের সবকটিকেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে, নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ করতে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যেই জেলার ৬৫ ইউনিয়নের ৩৮টিতে চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপক্ষে দলটির বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকেই জেলার ৯ উপজেলার সদর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের ২২ সদস্যের পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের তিনটি টহল টিম, চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজি বেনজির আহমেদ বলেন, ‘জেলায় প্রথম ধাপে ৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭০টিতে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। করোনার কারণে দুই দফা পেছানো (স্থগিত) হয়। এ অবস্থায় তিন ইউনিয়নের প্রার্থীর মৃত্যু, একটিতে মামলা ও একটি ইউনিয়নের সব পদের একক প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটের আগেই নির্বাচিত হওয়ায় এই পাঁচ ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘৬৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০০, সদস্য পদে দুই হাজার ২৫৫ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ৫৯৯টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা দুই হাজার ৮১৯টি। জেলার সব কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’