মিরপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মানহীন চিকিৎসা সরঞ্জামসহ কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা কাওছার হামিদ মুন্নাকে (২৯) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
আটক মুন্না দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পিতভাবে বেশি মুনাফা লাভের আশায় নিম্নমানের চিকিৎসা সামগ্রী প্রতারণার উদ্দেশে লোকজনের কাছে বিক্রয় করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেক হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটক মুন্নার বাড়ি ফেনী। সে কালোবাজারি চক্রটির মূলহোতা। অভিযানে তাদের কাছ থেকে নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ২ হাজার ৪৩০টি পালস্ অক্সিমিটার, ১৮৬টি ইনফারেড থার্মোমিটার জব্দ করা হয়।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই কালোবাজারি চক্রের মূলহোতাকে আটক করে।
র্যাব-৪ এর সিও জানান, জব্দ মালামাল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বোর্ডের অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্স কী ধরনের ব্যবসার উল্লেখ, জয়েন স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন, মহাপরিচালক ঔষধ প্রশাষন অধিদফতরের এনওসি, মহাপরিচালক ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কোনও বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
জিজ্ঞাসাবাদে করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজ খুললে জব্দকৃত জাম্পার পালস্ অক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় মজুদ রেখে বিক্রি করে আসছিল।
তিনি জানান, জব্দ করা মালামাল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষা করে জানা যায়; জাম্পার পালস্ অক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার সকলের দেহে একই তাপমাত্রা প্রদর্শন করে।
তিনি আরও জানান, জাম্পার পালস্ অক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার নিম্নমানের, যা ব্যবহার যোগ্য নয়।
আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।